অল্পের জন্যে প্রাণে রক্ষা পেল কাশ্মীরগামী তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। বুধবার বিকেলে দিল্লি থেকে ইন্ডিগো ৬ই২১৪২ বিমানে শ্রীনগর রওনা হয়েছিলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, রাজ্যসভা সাংসদ নাদিমুল হক, সাগরিকা ঘোষ, লোকসভা সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর ও রাজ্যের সেচ ও জলসম্পদ-মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই তাঁদের এই সফর। আচমকাই মাঝ-আকাশে বিপত্তি। ব্যাপক ঝড় ও শিলাবৃষ্টির মুখে পড়ে বিমানটি। তার উপর হঠাৎ বজ্রপাত। সামনের দিকের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিমানের। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ বিমানটি জরুরি অবতরণ করে শ্রীনগর বিমানবন্দরে। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন রাতে জানালেন, প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন প্রতিনিধি দলের সদস্য রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। মাঝ-আকাশে খারাপ আবহাওয়ার ফলে সবথেকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হন সাগরিকা। কপাল জোরে রেহাই পেয়েছেন যাত্রীরা। বিমানটিতে ২২৭ জন যাত্রী ছিলেন। বজ্রপাতে বিমানের কিছুটা ক্ষতি হলেও যাত্রীরা সম্পূর্ণ অক্ষত বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন-পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি বিশেষ নজর মুখ্যমন্ত্রীর

কাশ্মীরে পৌঁছেই এদিন সন্ধ্যায় শ্রীনগরে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল (TMC) প্রতিনিধিরা৷ এক ঘণ্টার বেশি সময় বৈঠক হয়। পাহেলগাঁও সন্ত্রাস হামলার পর উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় ওমর আবদুল্লার সঙ্গে। উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাবা, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ন্যাশনাল কনফারেন্স সুপ্রিমো ফারুখ আবদুল্লাও৷ বাংলা থেকে কাশ্মীরে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুঃখ-দুর্দশার ছবি সারা দেশে তুলে ধরার জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান ওমর৷ একইসঙ্গে পুঞ্চ ও রাজৌরির বর্তমান পরিস্থিতিও ব্যাখ্যা করেন তিনি৷ এই প্রসঙ্গেই অদূর ভবিষ্যতে কীভাবে বাংলা ও কাশ্মীর একযোগে কাজ করবে সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে, সেই বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন৷ বৃহস্পতিবার পুঞ্চ যাবে তৃণমূল প্রতিনিধিরা৷ শ্রীনগর থেকে সড়কপথে পুঞ্চ যেতে লাগে ৪ ঘণ্টা। জানালেন ডেরেক। কঠোর নিরাপত্তার বেষ্টনীতে সেখানে যাবেন তাঁরা। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি এইমুহূর্তে সরকারের তরফে তাঁরা যথাযথ সহায়তা পেয়েছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখবেন। পরে বিস্তারিত রিপোর্ট দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জানালেন ডেরেক। সাংসদ সাগরিকা ঘোষ বলেন, সীমান্তের গ্রামগুলি পাক গোলাবর্ষণে ক্ষতি হয়েছেন, কোনও সম্প্রদায়ের মানুষই রেহাই পাননি। তাঁদের প্রতি সমানুভূতি ও সংহতি জানাতে আমরা এসেছি।

_

_

_
_

_
_

_

_

_

_

_

_
