উন্নয়নে গতি আনতে দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে নীতি আয়োগের বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও তাঁর মন্ত্রিসভা। একাধিক বিজেপি রাজ্য যেমন সেখানে নিজেদের রাজ্যের জন্য আরও আখের গুছিয়ে নেওয়ার জন্য হাজির, তেমনই বিরোধী রাজ্যগুলি নিজেদের হকের কথা তুলে ধরে হাজির প্রধানমন্ত্রীর নীতি আয়োগের (Niti Aayog) বৈঠকে। বৈঠক থেকে যখন দেশের উন্নয়ন নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে একসঙ্গে কাজ করার আবেদন জানাচ্ছেন, তখন বাংলার শাসকদলের তরফ থেকে মনে করিয়ে দেওয়া হল সেই বঞ্চনার কথা, যা ভুলেই গোটা দেশের উন্নয়নের চিন্তায় মশগুল প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)। রাজ্যের তৃণমূল নেতৃত্বের স্পষ্ট দাবি, কেন্দ্রের এই মোদি সরকারের মুখে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার কথা সাজে না।

কেন্দ্রের নীতি আয়োগের বৈঠকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় অংশ নেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দীর্ঘদিন ধরে যে বঞ্চনা কেন্দ্রের মোদি সরকার বাংলার প্রতি করেছেন, তার কোনও উত্তর আজও দিতে পারেননি বিজেপির নেতারা। বাংলার ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি বকেয়া (dues) টাকা দেওয়া নিয়ে কোনও উদ্যোগ নেয়নি কেন্দ্রের সরকার। সেখানে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়া যে নিরর্থক তা বলা বাহুল্য। তবে অন্যান্য বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রী যেমন – এম কে স্ট্যালিন, হেমন্ত সোরেন, রেবন্ত রেড্ডি থেকে ভগবন্ত মান সকলেই যোগ দিয়ে নিজেদের রাজ্যের ন্যায্য পাওনার দাবি জানান।

১০ম নীতি আয়োগের বৈঠকে ফের একবার উন্নয়নের ফাঁকা আওয়াজ শোনান নরেন্দ্র মোদি। উন্নয়নে গতি আনতে সব রাজ্যগুলিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। টিম ইন্ডিয়ার মতো কাজ করলে কোনও লক্ষ্যপূরণ কঠিন হবে না বলে দাবি করেন তিনি। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যগুলির হাত মিলিয়ে চলার বার্তা দেন তিনি।

সেখানেই রাজ্যের সঙ্গে হাত মেলানো নিয়ে কেন্দ্রের কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে দলের পক্ষ থেকে তিনি প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী যদি বলে থাকেন হাতে হাত মিলিয়ে কাজ তাহলে তাঁকে প্রশ্ন বাংলার বকেয়াগুলো (dues) গেল কোথায়? সেই সঙ্গে কেন্দ্রকে স্মরণ করিয়ে দেন, বাংলার মতো একটি রাজ্যকে বঞ্চিত করে উন্নয়নের কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। হাতে হাত মেলাতে গেলে দুপক্ষকে হাতটা মেলাতে হয়। সেই হাত মেলানো ওনাদের কর্তব্য। ওনারা বাংলাকে বঞ্চিত করেছেন, অপমান করেছেন। অধিকারের টাকা দেননি। ওঁদের মুখে হাতে হাত মেলানো কথাটা সাজে না।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–