পুলিশ কর্মীকে ধাক্কা দিয়ে গ্রেফতার হওয়া গাড়ি চালকের সূত্র ধরে এবার বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের নতুন চক্রের সন্ধানে রাজ্যের পুলিশ। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের অশান্তির পরিস্থিতি ও পাকিস্তানের জঙ্গিদের ভারতে ঢুকে নাশকতার পরেও ভারতের সীমান্ত কতটা অরক্ষিত তা প্রমাণ করে দিল এই বাংলাদেশি নাগরিকের অনুপ্রবেশ। যেখানে সীমান্তে ব্যর্থ বিএসএফ (BSF), সেখানেই কলকাতা পুলিশের হাতে বাংলাদেশি নাগরিকের গ্রেফতারির ঘটনায় রাজ্যের পুলিশ বাহিনীর প্রশংসায় রাজ্যের শাসকদল।

গত ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে বাংলাদেশ থেকে নাগরিকদের ভারতে অনুপ্রবেশের পরিমাণ বেড়েছে। সেই মতো একাধিক রাজ্যের সীমান্তে নিরাপত্তা কর্মী ও ব্যয় বরাদ্দ বাড়িয়ে সীমান্ত সুরক্ষিত করার কথা ঘটা করে ঘোষণা করেছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আদতে সেই বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো করে মাত্র ১৪ দিন আগে বাংলাদেশ ও উত্তর ২৪ পরগণার সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েন আজাদ শেখ নামে এক বাংলাদেশের নাগরিক।

১৮ মে কালীঘাট থানার সামনে একটি গাড়ি নেতাজী নগর থানার এক কর্মীর বাইকে ধাক্কা মারে। সেই চালককে আটক করে তার পরিচয়পত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে সন্দেহ হয় কালীঘাট থানার (Kalighat police station)। সেখান থেকেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন এই গাড়িচালক আজাদ শেখ আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা। মাত্র ১৪ দিন আগে উত্তর ২৪ পরগণার সীমান্ত পেরিয়ে সে ভারতে প্রবেশ করে। তার মধ্যেই সে ভুয়ো পরিচয়পত্রও বানিয়ে ফেলে।

সেখানেই কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অপদার্থতাকে আরও একবার স্পষ্ট করে দেয় রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, গুজরাটে পাকিস্তানের গুপ্তচর ধরা পড়েছে। সেটা নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহর রাজ্য। সুতরাং যদি চালাতে চান বাংলা থেকে ধরা পড়েছে বলে, তাহলে তার দায়ও অমিত শাহর। সীমান্ত পাহারা দেয় বিএসএফ। তার সঙ্গে রাজ্য পুলিশের সম্পর্ক নেই। রাজ্য পুলিশ যদি ধরে তাহলে সেটা রাজ্য পুলিশের কৃতিত্ব। সীমা পার করে কেউ যদি আসে সেটা বিএসএফ-এর ব্যর্থতা। সীমান্ত এলাকায় ভুয়ো নথি তৈরিতে যে চক্র কাজ করছে সেটাও বিএসএফ, সেন্ট্রাল আইবি-র নজর রাখার দায়িত্ব। পুলিশের কাছে এলে পুলিশ ধরছে।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–