রাজ্যের মহিলা পরিচালিত ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগগুলিকে (এমএসএমই) উৎসাহ ও সহায়তা দিতে এবার রাজ্য জুড়ে শুরু হচ্ছে এক বৃহৎ সমীক্ষা। বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় ‘রেইজিং অ্যান্ড অ্যাকসেলারেটিং এমএসএমই প্রোডাক্টিভিটি’ (র্যাম্প) প্রকল্পের আওতায় এই সমীক্ষা চালাবে রাজ্য সরকার।

ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে রাজ্যের প্রায় ৫ হাজার মহিলা পরিচালিত এমএসএমই সংস্থাকে এই সমীক্ষার আওতায় আনা হবে। তাঁদের কার্যক্ষমতা, আর্থিক সহায়তার সুযোগ, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বাজারে প্রবেশের বাধা বিশ্লেষণ করা হবে। এর ভিত্তিতে একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হবে, যা ভবিষ্যতের নীতি নির্ধারণে সহায়ক হবে।

এই প্রকল্পে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানকেও যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সমীক্ষা শেষে রাজ্যজুড়ে ৫০টি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হবে। প্রতিটি শিবিরে অন্তত ১০০ জন মহিলাকে রাজ্য ও কেন্দ্রের প্রকল্প, ডিজিটাল বিপণন এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

প্রকল্পের শেষ পর্যায়ে ১০০-রও বেশি মহিলা পরিচালিত এমএসএমই সংস্থাকে ‘বিশ্ব বাংলা’, ‘তন্তুজ’ এবং ‘মঞ্জুষা’র মতো সরকারি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত করে অনলাইন বিপণনের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দেওয়া হবে।

২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক থেকে শুরু হয়ে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক পর্যন্ত এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। প্রতিটি ধাপে কাজের অগ্রগতির ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ করা হবে।

জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, মহিলা পরিচালিত উদ্যোগের সংখ্যায় পশ্চিমবঙ্গ সারা দেশে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেই অগ্রগতি আরও দৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে আশা রাজ্য প্রশাসনের।

আরও পড়ুন – নিখোঁজ থাকার ১০ দিন পর আলিপুর বডিগার্ড লাইন্স থেকে পুলিশকর্মীর দেহ উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য

_

_

_

_
_
_
_
_
_