এই প্রথমবার, রাজ্যের রেশন গ্রাহকদের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে জগন্নাথ মহাপ্রভুর প্রসাদ। তাও আবার খোয়া খীর সহযোগে গজা ও প্যাড়ার প্যাকেটে। রাজ্য সরকারের এই অভিনব সিদ্ধান্তে ধর্মীয় আবেগের সঙ্গে যুক্ত হল প্রশাসনিক উদ্যোগ। প্রসাদ বিলিতে সহায়ক হবে রাজ্যের রেশন ডিলাররা, এবং তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এর বিনিময়ে কোনও ভর্তুকি বা পারিশ্রমিক তাঁরা নেবেন না।
ডিলারদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, “এ এক পূণ্য কাজ। মুখ্যমন্ত্রীর আস্থায় আমরা গর্বিত। সরকার যেমন বিনামূল্যে প্রসাদ বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তেমনই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি—এক টাকা করে নির্ধারিত ভর্তুকি আমরা নেব না।”

প্রসাদ বিতরণ শুরু হচ্ছে ১৭ জুন থেকে, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে নিবেদন করা খোয়া খীরের ভোগ থেকেই এই মহাপ্রসাদ আসবে। স্থানীয় পুরসভা ঠিক করবে কোন মিষ্টির দোকান থেকে তৈরি হবে গজা ও প্যাড়া। এরপর সেগুলি নির্দিষ্টভাবে প্যাকেট করে পৌঁছে যাবে সাধারণ গ্রাহকদের ঘরে।

প্রসাদ প্যাকেট বাড়ি বাড়ি পৌঁছনো হবে সোম থেকে শুক্র ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের মাধ্যমে, আর শনিবার ও রবিবার রেশন দোকান থেকেই পাওয়া যাবে প্রসাদ। রাজ্যের ১১ কোটি রেশন গ্রাহক এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হবেন।

প্রসাদের মান যাতে বজায় থাকে, তা নিয়েও কড়া নজর রাখছে প্রশাসন। বিশ্বম্ভর বসুর কথায়, “ফুড ইনস্পেক্টরদের মাধ্যমে মান যাচাই হবে। আমাদের প্রস্তাব, প্যাকেটে মিষ্টির মেয়াদ লিখে দেওয়া হোক, যেন কোনও ভুল বোঝাবুঝি না হয়।”

এই মহাযজ্ঞে সহযোগিতার জন্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন। প্রসাদের মাধ্যমে ধর্ম ও প্রশাসনের এই মিলন বহু মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেবে ভক্তি, একতা ও সৌহার্দ্যের বার্তা—এমনটাই আশা রাজ্যবাসীর।

আরও পড়ুন – পরিবেশ রক্ষায় পদক্ষেপ! দিঘার উপকূলে জমে থাকা বিপজ্জনক বর্জ্য অপসারণে উদ্যোগ রাজ্যের

_

_

_
_
_
_
_
_


