টেক অফের পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার(Air India) বোয়িং প্লেন ভেঙে(Plane Crash) পড়ে ২৪২ জন যাত্রী ও ১২জন বিমানকর্মীর মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর বিমানটি মেঘানি নগরের যে বি জে মেডিক্যাল কলেজের(BJ Medical College) ইউজি হস্টেলের উপর ভেঙে পড়ে সেখানেও বহু ডাক্তারি(MBBS) পড়ুয়ার মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ভেঙে পড়া বিমানের জ্বলন্ত ধ্বংসাবশেষ মেডিক্যাল কলেজের(Medical College) হস্টেলের উপর পড়ে দাউদাউ করে আগুন ধরে যায়। ঘটনায় সিভিল হস্টেলে থাকা প্রায় ১৫ জন জুনিয়র ডাক্তার গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, বিস্ফোরণের ফলে আশপাশের একাধিক বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ার এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, যখন ঘটনাটি ঘটে তখন হস্টেলের আবাসিকরা দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। এক পড়ুয়ার মায়ের কথা অনুযায়ী, “আমার ছেলে ওই হস্টেলেই থাকে। সেই সময় ওদের লাঞ্চ ব্রেক চলছিল, সবাই খাচ্ছিল। সেই সময় বিমানটি ভেঙে পড়ে। আমার ছেলে কোনওক্রমে হস্টেলের জানলা দিয়ে নিচে লাফ দেয়। ও আহত হলেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছে। এখন আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”

গুজরাট পুলিশের(Gujarat Police) এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, “প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি যে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়াটি বিমান ডাক্তারি পড়ুয়াদের হস্টেলে ভেঙে পড়ে। ২-৩ মিনিটের মধ্যে পুলিশ এবং অন্যান্য উদ্ধারকরী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রায় ৭০-৮০% এলাকা পরিষ্কার করা হয়েছে। এখনও উদ্ধার কাজ শেষ হয়নি।”

এয়ার ইন্ডিয়ার(Air India) বিমানে থাকা ২৪২ জন যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, ১ জন নাগরিক, ৭ জন পর্তুগালের। ঘটনায় শোক প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় যে প্রাণহানি হয়েছে তা বেদনাদায়ক, ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি এবং আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি।”

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–