মহেশতলার ঘটনা নিয়ে বিরোধীদের বিধানসভা (Assembly) বানচাল করার পরিকল্পনা মাঠে মারা গেল। তাদের যাবতীয় প্রচেষ্টা বানচাল করে দিয়ে সফলভাবে অধিবেশন পরিচালনা করলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। বিরোধীদের লাগাতার হৈ হট্টগোলের মধ্যেও চলল উল্লেখ পর্ব, একাধিক মন্ত্রীর বিবৃতি এবং পূর্ত দফতরের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবের উপর আলোচনা। মহেশতলার সাম্প্রতিক ঘটনার প্রতিবাদ ঘিরে বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। BJP মুলতুবি প্রস্তাব এনে অধিবেশনে দাবি তোলে বিজেপি। অন্য সব কর্মসূচি স্থগিত রেখে এই ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হোক এবং মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রীর বিবৃতি দেওয়া হোক।

অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) সেই দাবি খারিজ করে দিলে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান ওঠে, গেরুয়া পতাকা এবং মহেশতলার হিংসার ছবি-সহ পোস্টকার্ড হাতে বিক্ষোভ চলে প্রায় একঘণ্টা।

এর পাল্টা প্রতিবাদ করে শাসক শিবির। সরকারপক্ষের তরফে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শ্যামল মণ্ডল, মানস ভুঁইয়া, শশী পাঁজা ও অপূর্ব সরকার বিরোধীদের আচরণের কড়া সমালোচনা করেন। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যে উন্নয়নের গতি থামাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাম্প্রদায়িক ইস্যুকে সামনে আনা হচ্ছে।

এরপর শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন এবং মিছিল করে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দেন। বিরোধীদের এই আচরণের করা সমালোচনা করেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিরোধীদের বাধা সত্ত্বেও অধিবেশন সফলভাবে চালানো হয়েছে।“ তিনি জানান, “লোকসভায় এ ধরনের বিক্ষোভ হলে অধিবেশন মুলতুবি হয়, কিন্তু এখানে তা করা হয়নি।“ তিনি সরকারপক্ষের বিধায়কদের ধন্যবাদ জানান সহযোগিতার জন্য।

পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন, “গতকাল হুঁশিয়ারি দিয়েও আজ কার্যক্ষেত্রে বিরোধীরা সফল হননি।“ তিনি বিধানসভায় একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা নিয়ে উত্তেজনার ঘটনাকে নজিরবিহীন বলেও অভিহিত করেন এবং বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করেন।

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–