মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি যে পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধের শুরু করে দেবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছিল ইরান। তারই প্রমাণ দিতে বুধবার সকাল থেকে তেল আভিভ (Tel Aviv) লক্ষ্য করে হাইপারসোনিক মিসাইল (hypersonic missile) ছোড়া শুরু করল খামেইনির দেশ। তবে যুদ্ধের প্রস্তুতি যে আমেরিকার নেওয়াই রয়েছে তা স্পষ্ট হয় পশ্চিম এশিয়ায় মার্কিন যুদ্ধবিমান (US aircraft) ও সেনাবাহিনীর একাংশ সরিয়ে আনার মধ্যে দিয়েই। অন্যদিকে ট্রাম্পের হুমকির পরেই ইরানের রাজধানী তেহরান (Tehran) ছাড়া শুরু করলেন হাজার হাজার ইরানিয়ান।

জি-সেভেন বৈঠক দ্রুত শেষ করে আগেই দেশে ফিরে এসেছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এরপরই তিনি দেড় ঘণ্টা ফোনে কথা বলেন ইজরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে। এরপরই ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’-এর (Unconditional surrender) বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গেই দাবি করেন, ইরানের গোটা আকাশ আমেরিকার দখলে। সেই সঙ্গে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে আমেরিকা যে ইরানের সাধারণ নাগরিকদের হত্যা চায় না, তাও স্পষ্ট করে দেন ট্রাম্প। কার্যত ট্রাম্পের এই বার্তাকেই হুঁশিয়ারি হিসাবে গ্রহণ করে তেহরানবাসী।

মঙ্গলবার থেকেই তেহরান ছাড়া শুরু করেছিলেন বিদেশীরা। ভারতীয় থেকে চিনের নাগরিকদেরও সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছিল। তবে বুধবার তেহরান ছাড়তে দেখা গেল ইরানিয়ানদের। অন্তত ৫০ শতাংশ বাসিন্দা শহর ছেড়েছেন বলে দাবি সূত্রের। সেই সঙ্গে খাবারের দোকান ও পেট্রোল পাম্পে লম্বা লাইন দেখা যায়, ভবিষ্যতের রসদ সংগ্রহ করার জন্য।

মঙ্গলবারই মার্কিন বায়ুসেনার (US aircraft) নিমিৎজ যুদ্ধবিমান পশ্চিম এশিয়ায় পাঠানো শুরু করে আমেরিকা। পাশাপাশি অন্যান্য যুদ্ধবিমানও রওনা দেয় ইরানের (Iran) উদ্দেশ্যে। জেরুজালেমের মার্কিন দূতাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বুধবার সকাল থেকে তেহরান লক্ষ্য করে ইজরায়েলের হামলাও জারি রয়েছে।

পাল্টা তেল আভিভ লক্ষ্য করে হাইপার সোনিক মিসাইল ছোড়া শুরু করে ইরান। কার্যত যেন ট্রাম্পের বার্তারই অপেক্ষা করছিলেন খামেনেই। ইরানের তরফ থেকে দাবি করা হয় ফতেহ-১ (Fatah-1) মিসাইল বিপর্যস্ত করেছে তেল আভিভকে (Tel Aviv)। এক নয়, অন্তত ১১টি হাইপার সোনিক মিসাইলে কেঁপে ওঠে তেল আভিভ।

–

–

–

–

–

–
–
–
–