বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশ মতো রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে দিঘার জগন্নাথধামের (Jagannath Dham, Digha) মহাপ্রসাদ। মঙ্গলবার সকালে শহর কলকাতার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে এই প্রসাদ বিলি করা হল। কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তীর (Ayan Chakrabarty) উদ্যোগে এলাকার মানুষের হাতে মহাপ্রসাদ ( Jagannath Temple Mahaprasad) তুলে দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এদিন হরিনাথ দে রোড CIT আবাসনের সামনে থেকে এই প্রসাদ বিলি করা হয়। এলাকার মানুষের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

বাংলার মুকুটে নতুন পালক জুড়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দ্বারোদ্ঘটন হয়েছে। তারপর থেকে চলছে নিত্যপুজো। মন্দির দর্শনে প্রত্যেকদিন কয়েক হাজার মানুষের ভিড় জমছে সৈকত নগরীতে। উদ্বোধনের দিনই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন বাংলার প্রতিটি ঘরে এমনকি দেশেরও বেশ কিছু ব্যক্তিত্বদের বাড়িতেও পৌঁছে যাবে জগন্নাথধামের প্রসাদ। রাজ্য সরকারের (Govt of WB) তথ্য সংস্কৃতি দফতরকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো জেলায় জেলায় মহাপ্রসাদ বিতরণ চলছে। এদিন প্রসাদ বিতরণের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হই কুণাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কথা মেনেই ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তীর উদ্যোগে আজ বাড়ি বাড়ি প্রসাদ দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির বিরোধিতাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করতে করতে এবার ভগবানের সঙ্গে লড়াই করার চেষ্টা করছে এরা। বিরোধী দলনেতার বাড়ি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এই জগন্নাথ মন্দির রয়েছে। অথচ এখনও পর্যন্ত তাঁর সময় হল না মন্দির দর্শনের। তিনি কুৎসা করতে ব্যস্ত। কুণাল বলেন, বিশ্বাসে মিলায় কৃষ্ণ তর্কে বহুদূর। বিজেপির ধর্ম নিয়ে রাজনীতিকে এক হাত নিয়ে তৃণমূল নেতার মন্তব্য, “আপনি যখন ভগবানকে ফুল দেন দেখতে যান সেই ফুল হিন্দু মুসলিম না খ্রিস্টান চাষির বাগানে তৈরি হয়েছে? যখন দুর্গাপুজোর অষ্টমীতে নতুন জামা পরে অঞ্জলি দেন, তখন কি সেই দর্জির জাত বা ধর্ম বিচার করেন? তাঁর কথায়, মানুষ দুহাত ভরে জগন্নাথ দেবের প্রসাদ গ্রহণ করছেন।

সবশেষে, যাঁরা কুৎসা করছেন বা বিরোধিতা করছেন তাঁরা জগন্নাথ দেবের রোষানলে পড়লে বুঝবেন বলেও খোঁচা দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ।

–

–

–

–

_

–

–

–
–
–
–
–
–
–
–