সাধুগিরির আড়ালে বছরের পর বছর ধরে লুকিয়ে থাকা ভণ্ডামির চেহারা এবার জনসমক্ষে। পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে উঠল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ—এক মহিলার সঙ্গে প্রতারণা করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন এবং জোর করে গর্ভপাত করানোর। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজের পরিচয় গোপন রেখে অভিযুক্ত সাধুর কুকীর্তির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন ওই মহিলা।

অভিযোগকারিণীর বক্তব্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কার্তিক মহারাজ তাঁকে মুর্শিদাবাদের এক আশ্রমের প্রাইমারি স্কুলে নিয়ে যান এবং শিক্ষিকার পদে নিয়োগ করেন। তাঁকে থাকার জন্য একটি ঘরও দেওয়া হয়। সেখান থেকেই শুরু হয় দুঃস্বপ্ন। এক রাতে আচমকাই মহারাজ এসে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। বাধ্য হয়ে তা মেনে নিতে হয় বলে জানান অভিযোগকারিণী, কারণ ততদিনে তিনি ঘরবাড়ি ছেড়ে মহারাজের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।

মহিলার আরও দাবি, ছয় থেকে সাত মাস ধরে সেই সম্পর্ক চলতে থাকে, যার ফলে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন। পরে কার্তিক মহারাজ কাকুতি-মিনতি করে গর্ভপাত করান, এবং সেই সিদ্ধান্তে বাধ্য হয়ে সায় দিতে হয় বলে জানান মহিলা।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একজন ‘সাধু’-র নাম করে যে ভণ্ডামি ও অনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে গিয়েছেন কার্তিক মহারাজ, তা প্রকাশ্যে আসায় পদ্মশ্রী সম্মান নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। যদিও এই ঘটনায় প্রশাসনের তরফে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে অভিযোগকারিণীর বক্তব্য ঘিরে তদন্ত শুরু হলে কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।


আরও পড়ুন – পুজোর আগেই বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের: তাঁতশিল্পীদের থেকে সরাসরি শাড়ি কিনবে সরকার


_
_

_
_
_

_

_

_

_

_