সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা (secularism) বাদ দিতে এবার সওয়াল খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের (Shivraj Singh Chouhan)। তিনি আবার মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও। বিজেপি যে গোটা দেশে ধর্মের ভিত্তিতেই রাজত্ব করতে চায়, তা এবার স্পষ্ট করে দিলেন মোদি সরকারের মন্ত্রীই। সেই সঙ্গে সমাজতান্ত্রিক (socialism) শব্দটিও বাদ দেওয়ার দাবি জানান তিনি। সেখানেই বাংলার শাসকদল তৃণমূলের প্রশ্ন তবে কী বিজেপি নির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রুতিই এবার নিজেরাই ভেঙে দিতে চলেছে।

সম্প্রতি বেশ কিছু বিজেপি নেতা নেত্রীদের দেখা গিয়েছে দাবি তুলতে, যে ভারতের সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি বাদ দেওয়া দরকার। এবার সেই দাবি নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর মুখে। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan) দাবি করেন, ধর্মনিরপেক্ষতা (secularism) ভারতীয় সংস্কৃতির মূলকথা ছিল না। সুতরাং এবার ভাবা দরকার জরুরি অবস্থার সময়ে যুক্ত হওয়া ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি সরিয়ে ফেলা প্রয়োজন।

পাশাপাশি তিনি সমাজতন্ত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, ভারতীয় সংস্কৃতির গঠনগত চরিত্র বাঁচো আর বাঁচতে দাও এবং সকলের সুখ। সুতরাং সমাজতান্ত্রিক (socialism) শব্দটিরও প্রয়োজন নেই। উল্লেখ করেন বি আর আম্বেদকর যে সংবিধান রচনা করেছিলেন সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতান্ত্রিক শব্দ দুটির উল্লেখ ছিল না।

এর আগে যতবার বিজেপির মোদি সরকার সংবিধানকে আক্রমণ করেছে ততবার বাংলার শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই অবমাননার পরেও চুপ থাকেনি তৃণমূল। সাংসদ সাকেত গোখলে (Saket Gokhale) প্রশ্ন করেন, এর অর্থ কী বিজেপি সরকার গোটা দেশের মানুষকে ঠকাতে চলেছে এবং লাডলি বেহেন ও ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা ভেঙে দিতে চলেছে? শিবরাজ সিং চৌহানকে ব্যাখ্য়া দিতে হবে এর কারণ তিনি স্পষ্টভাবে বলছেন বিজেপি নিজেদের নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ভাঙতে চলেছে।

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–