Friday, August 22, 2025

সংসার বড় হলে সমস্যা হয়: শমীক-সাক্ষাতের আগে কীসের ইঙ্গিত দিলীপের!

Date:

Share post:

রাজ্য বিজেপির (BJP) কোন্দল প্রকাশ্যে। নতুন রাজ্য সভাপতির দায়িত্বভার অনুষ্ঠানে ডাক পাননি দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মঙ্গলবার বিকেল ৪টেয় সল্টলেকের বিজেপির কার্যালয়ে নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের (Shamik Bhattacharya) মধ্যে বৈঠকের সঙ্গে কথা রয়েছে দিলীপের। বৈঠকের আগে দলের থেকে দূরত্ব বেড়ে যাওয়া সম্পর্কে দিলীপ বলেন, “সংসার বড় হলে সমস্যা হয়। সেটা মাথায় রেখেই চলতে হবে। বসে সমাধান করতে হবে”। তাঁর এই বক্তব্যের পর উঠে আসছে কীসের ইঙ্গিত? একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে দিলীপের দাঁড়ানো কী শুধুই জল্পনা!

শমীক ভট্টাচার্যের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার দিলীপ ঘোষের সঙ্গে প্রথম বৈঠক হতে চলেছে। যখন শমীকের মাথায় বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতির তাজ পরানো হয়, সেই অনুষ্ঠানেও ডাক পড়েনি দিলীপের। তাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কেন এতদিন এই বৈঠক হয়নি? কেন দিলীপকে ওই অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি? তবে, নির্বাচনী যুদ্ধের আগে বিজেপির এই অন্তর্দ্বন্দ্ব নতুন নয়। শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না। তার কারণ কি দলের সঙ্গে আপাতত দিলীপের দূরত্ব বেড়ে যাওয়া?

এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “সংসার বড় হলে সমস্যা হয়, সেটা মাথায় রেখে চলতে হবে।” তাঁর এই মন্তব্য দলের মধ্যে কী বিভাজনের ইঙ্গিত রয়েছে। দলীয় একতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে যখন, তখন তাদের প্রধান পুরোনো নেতা, তাঁকে কার্যত নিঃসঙ্গ করে রেখেই এগিয়ে চলছে দল।

যদিও, রাজ্য সভাপতি হওয়ার পরে শমীক ভট্টাচার্য ‘আদি-নব্য’ সকলকে একত্রে নিয়ে চলার যে বার্তা দিয়েছেন, সেটি তাঁর রাজনৈতিক বাস্তবতা প্রতিফলিত করার চেষ্টা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে এখানে প্রশ্ন হল, এই বিভাজন কি সত্যিই মিটবে? বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং নেতৃত্বের অন্তর্দ্বন্দ্ব কি দলের ভবিষ্যতকে আরও সংকটময় করে তুলবে!

শুধু তাই নয়, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দিলীপ ঘোষের উপস্থিতি নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে, বিজেপির পুরোনো এবং নতুন নেতাদের মধ্যে একতা সৃষ্টির প্রতি অদৃশ্য প্রতিরোধ বিজেপির অস্থির ভবিষ্যতের অশনি সংকেত হয়ে দাঁড়াতে পারে। রাজ্য বিজেপির এই অস্থিরতা এবং বিভাজন কি তাদের পুনর্গঠন বা শক্তি সঞ্চয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে? উত্তর দেবে সময়। দলীয় সূত্রে খবর, এই বৈঠকের পরই দিল্লি রোনা হবেন শমীক। এখন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির সঙ্গে হওয়া এই বৈঠক শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়ে থেকে যায় নাকি জন্ম দেয় নতুন সমীকরণের।
আরও খবর:রাজনৈতিক সৌজন্যের দৃষ্টান্ত মুখ্যমন্ত্রীর: জন্মদিবসে জ্যোতি বসুকে শ্রদ্ধা

spot_img

Related articles

আইনি জটিলতা কাটিয়ে স্নাতকের মেধাতালিকা প্রকাশ, শুরু হচ্ছে ভর্তি: জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

আইনি জটিলতা কাটিয়ে স্নাতকস্তরে প্রকাশিত হল অনলাইনে পোর্টালে ভর্তির ফলাফল। শুক্রবার ফল (Result) প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ভর্তি প্রক্রিয়া...

কিছু হাই কোর্টের বিচারপতির কর্তব্যবোধ কম পড়ছে: মত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির

একাধিক হাই কোর্টের বিচারপতিদের স্বরূপ বাংলায় অনেক আগেই খুলে গিয়েছে, যখন হাই কোর্টের বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে...

মোদিজি আসুন বাংলার উন্নয়ন দেখে যান: কটাক্ষ চন্দ্রিমার

“ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে আবার আসতে শুরু করেছেন। এবার থেমে থাকুন দাদা।“ নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া...

স্বপ্নভঙ্গ নয়, মুক্তির লড়াই: জাতীয় স্তরের রেফারি হলেন গোপীবল্লভপুরের মনি খিলাড়ি

এ গল্প কোনো স্বপ্নভঙ্গের নয়, বরং শৃঙ্খল ভাঙার গল্প। কনকনে শীতের রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে নিজের বিয়ে ভেঙে...