এক দেশ এক ভোট- কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবনায় অনেক আইনি জটিলতা আছে। এই পদক্ষেপ দেশের সাংবিধানিক নির্বাচনী পরিকাঠামোকে উপহাসে পরিণত করতে পারে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের দুই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (former CJI D Y Chandrachud) এবং জে এস কেহের (former CJI J S Keher)। সংসদীয় সূত্রের দাবি, শুক্রবার নয়াদিল্লিতে এক দেশ এক ভোট (One Nation One Election) সংক্রান্ত জেপিসি (JPC) বৈঠকে এই আশঙ্কার কথা জানান দুই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। এই প্রসঙ্গেই কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন দুই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং জে এস কেহের।

এদিন নিজেদের প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এই দুই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সরকারের উদ্যোগকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। সংবিধানে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে (ECI) মাত্রাতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যা রিভিসিট করা উচিত বলে জানিয়েছেন তারা। বর্তমানে কমিশন নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। সব দিক বিবেচনা করে দেশের নির্বাচনী পরিকাঠামোয় ভারসাম্য বজায় রাখার সুপারিশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দুই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, দাবি সংসদীয় সূত্রের। তাদের প্রশ্ন, নির্বাচন কমিশন (ECI) যদি মাত্রাতিরিক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে কোনও একটি রাজ্যের জনগণের নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সেই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে, তাহলে যে আইনি জটিলতা তৈরি হবে, তার সমাধান করা হবে কি ভাবে? প্রাক্তন বিচারপতি চন্দ্রচূড় যুক্তিসহকারে বলেন ক্ষতিয়ে দেখার প্রয়োজন গুড গভর্নেন্সের কারনে।

তাৎপর্যপূর্ণ হল, এদিনের জেপিসি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ, লোকসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) এবং রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে (Saket Gokhale)। সূত্রের দাবি, লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একবার মোদি সরকারের এক দেশ এক ভোট সংক্রান্ত উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করেন। একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন স্বাধীন দেশের নাগরিকদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা নিয়েও। জনগণের রায়ে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ কি ভাবে মেয়াদ ফুরোনোর আগে সমাপ্ত করা হবে, প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই একই বিষয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দুই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং জে এস কেহের, দাবি সংসদীয় সূত্রের।

আরও পড়ুন: দেশে প্রচুর কমিশন আছে, সবাই পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না; পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

অন্যদিকে কমিটির চেয়ারম্যান বিজেপি সাংসদ পিপি চৌধুরী দাবি করেছেন সব রাজনৈতিক দলের সাংসদরা একজোট হয়ে নির্বাচনী সংস্কারের জন্য আন্তরিকভাবে বদ্ধপরিকর। সবার সম্মিলিত উদ্যোগেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, জানান তিনি।

–

–

–

–

–

–
–
–
–