পরিবেশ রক্ষায় বেশি করে গাছ লাগানোর পরামর্শ দিলেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansa)। শনিবার, কলকাতার অরণ্য ভবন থেকে বনমহোৎসবের সূচনা করেন তিনি। এই উৎসব উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছিয়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বনমন্ত্রীর কথায়, পরিবেশ রক্ষার দায় একা বন দফতরের নয়। সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে।

এদিন বনমহোৎসবের সূচনা করেন বনমন্ত্রী। সেই উপলক্ষ্যে অরণ্য ভবন থেকে ট্যাবলোর উদ্বোধন করেন তিনি। বনমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন বন দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি দেবল রায়, প্রধান বন সংরক্ষক ও বন বাহিনীর প্রধান। ১৪ থেকে ২০ জুলাই রাজ্যজুড়ে বনমহোৎসব পালিত হবে। রাজ্যস্তরের অনুষ্ঠানটি ১৪ তারিখ শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারিতে অনুষ্ঠিত হবে। এর পাশাপাশি ২৩টি জেলাস্তর এবং ২টি উপ-বিভাগীয় স্তরের অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হবে। এই ট্যাবলো ‘সবুজ বাঁচাও’ এর প্রতি সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেবে এবং মধ্য কলকাতা, উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, নিউ টাউন এবং সল্টলেকে চারা বিতরণের জন্য ভ্রাম্যমাণ ইউনিট হিসেবেও কাজ করবে।

বনমন্ত্রী জানান, পরিবেশ বাঁচাতে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। তবে, এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকেও উদ্যোগী হতে হবে। একা দায় বন দফতরের নয়। গাছ লাগানোর পাশাপাশি গাছ বাঁচানোর বিষয়েও জোর দেন বীরবাহা (Birbaha Hansa)। তাঁর কথায়, উন্নয়নের জন্য একটি গাছ কাটলে দুটো গাছ লাগাতে হবে। বনমন্ত্রীর জানান, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই বাংলায় হাতি-সহ বন্যপ্রাণির সংখ্যআ বৃদ্ধি হচ্ছে। পরিবেশ বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী।

বনমহোৎসব উদযাপনে প্রতিবারের মতো, এবারও গাছের চারা বিলি করা হবে। সমস্ত বন নার্সারি থেকে শহরাঞ্চলে প্রতি ব্যক্তির জন্য দুটি করে এবং গ্রামাঞ্চলে পাঁচটি করে চারা বিনামূল্যে বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে। তবে, বনমন্ত্রীর কথায়, শুধু ছবি তোলার জন্য নয়, চারা নিয়ে সেটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করে বাঁচিয়ে রাখুন।

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–