ডবল ইঞ্জিন রাজ্য ওড়িশায় (Odisha) কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন অধ্যাপক। বিচার চেয়ে ক্যাম্পাসেই গায়ে আগুন দিয়েছিলেন কুড়ি বছর বয়সী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী (Self immolation over sexual harrasment)। সোমবার রাতে ভুবনেশ্বর এইমসে (All India Institute of Medical Sciences, Bhubaneswar) তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

বালাসোরের ফকির মোহন কলেজে (Fakir Mohan College Balasore)পড়াশোনা করতে গিয়ে বিভাগীয় প্রধানের যৌন লালসার শিকার হতে হয় দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে। বারবার কর্তৃপক্ষকে জানিও কোন লাভ হয়নি। অন্তর্বর্তী তদন্তের কথা বলা হলেও কোনওরকম তৎপরতা দেখায়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে শনিবার বিকেলে নির্যাতিতা কলেজের অপর এক অধ্যাপকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে যান। দ্রুত বিচারের দাবিও জানান সেখানেও। তারপরই ক্যাম্পাসে গায়ে আগুন লাগিয়ে প্রতিবাদের শেষ চেষ্টা করেছিলেন।তাঁকে বাঁচাতে ছুটে যান তাঁর এক সহপাঠীও। কিন্তু ব্যর্থ হয় সবটাই। শনিবার বালাসোরের জেলা হাসপাতাল থেকে নির্যাতিতাকে রেফার করা হয় এইমস-এ। কিন্তু জীবনের সঙ্গে আর লড়াই করতে পারলেন না কুড়ি বছরের তরুণী। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অগ্নিগ্ধ হয়ে প্রায় ৯৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় রিকভারি করার মত সুযোগ মেলেনি। এই ঘটনাকে ঘিরে রবিবারই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কড়া সুরে আক্রমণ শানায় তৃণমূল। বাংলার শাসকদলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়ে, ‘ভিন্ন দিন, ভিন্ন শিকার। বিজেপি সরকারের তত্ত্বাবধানে সর্বত্র একই পচন ছড়িয়ে পড়েছে।’ পদ্মরাজ্যের এই ঘটনা ফের প্রমাণ করে দিল যে দেশের প্রধানমন্ত্রীর বুলি ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ আসলে বাস্তবে প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়।’

–

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–
–