শুক্রবার মোদি বাংলায় এসে গলা ছেড়ে বলছিলেন ওড়িশা উন্নয়নের মডেল, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও সম্পর্কে। শনিবারই তার নমুনা চোখে পড়ল। বিজেপির (BJP) ডবল-ইঞ্জিন রাজ্য ওড়িশায় (Odissa) নাবালিকাকে প্রকাশ্যে জ্বালিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। মেয়েটি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। বিষয়টি নিয়ে বিজেপিকে ধুয়ে দিল তৃণমূল। এখন কোথায় জাতীয় মহিলা কমিশন? কেন চুপ?

দিন কয়েক আগে বালেশ্বরে কলেজছাত্রী গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা দেশজুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই পুরীতে ফের ঘটল ভয়ঙ্কর ঘটনা। এদিন রাস্তায় ১৫ বছর বয়সী নাবালিকার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুল লাগিয়ে দেয় ৩ দুষ্কৃতী। তারপরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত জানা গিয়েছে দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ (Police)।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল (TMC)। নিজেদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডল তারা লেখে, “বিজেপির (BJP) ডবল-ইঞ্জিন রাজ্য ওড়িশায় ১৫ বছরের এক কিশোরীকে প্রকাশ্য রাস্তায় পেট্রোল ঢেলে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা। মেয়েটা এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
এটা বিজেপি-শাসিত রাজ্যের বাস্তব চিত্র—যেখানে একটা মেয়েও নিরাপদ নয়। ‘বেটি বাঁচাও’ বলে যারা বুক ফুলিয়ে ভোট চায়, তারা নিজেদের শাসিত রাজ্যেই মেয়েদের সুরক্ষা নেই।দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা, জাতীয় মহিলা কমিশন পুরোপুরি চুপ। এই দ্বিচারিতার জবাব মানুষই দেবে!”

১২ জুলাই বালেশ্বরের ফকির মোহন (স্বায়ত্তশাসিত) কলেজ ক্যাম্পাসে গায়ে আগুনে দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বছর কুড়ির এক ছাত্রী। কলেজের এক সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়ে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশ হয়ে এই সিদ্ধান্ত নেন ওই ছাত্রী। অবশেষে ১৪ জুলাই রাতে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।
আরও খবর: ২১ শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি: শহর ঘুরে দেখলেন পুলিশ কমিশনার

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–