নির্বাচনমুখি বিহার আর বাংলাই যে বিজেপির পাখির চোখ, আর সেই চোখ ভেদ করতে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামকে জড়িয়ে নতুন রণকৌশল নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। রাজ্যে রাজ্যে যেভাবে প্রতিদিন বাঙালি হেনস্থা প্রকাশ্যে চলে এসেছে, তাতে বাংলা জেতার বিজেপির রণকৌশল ভেস্তে গিয়েছে। প্রবল চাপে পড়ে তাই মোদির মুখে এবার ক্ষুদিরামের (Kshudiram Bose) নাম। সেই সঙ্গে বিহার নির্বাচনের (Bihar assembly election) আগে ফের একবার দেশাত্মবোধের জিগির তুলতে ক্ষুদিরামের সঙ্গে জুড়লেন মজফফপুর জেলকেও। গোটাটাই নরেন্দ্র মোদির চাপ খেয়ে বাংলার ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা বলে দাবি বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের।

রবিবার মনের কথা বলে ভোট ব্যাঙ্ক পরীক্ষায় নেমেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। জুলাই মাসের মন কি বাত-এ অগাস্টের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তার সঙ্গে জোড়েন বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামকে। সেক্ষেত্রে যে কোনও স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম তিনি ব্যবহার করেননি। ১১ অগাস্ট বিহারের মজফফরপুর (Mujafffarpur) জেলে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসির প্রসঙ্গে টেনে আনেন। একদিকে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে তাঁর কত জ্ঞান-ভক্তি প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। অন্যদিকে ক্ষুদিরামের ফাঁসির দিন বিহারের মানুষ কীভাবে ইংরেজের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল, তার উল্লেখ করেন। এক ঢিলে দুই পাখির মতো বাংলা ও বিহারের মন জয়ের চেষ্টা চালান।

अगस्त का महीना हम भारतवासियों के लिए इसीलिए तो क्रांति का महीना है…#MannKiBaat pic.twitter.com/NHDZQfL0sk
— Narendra Modi (@narendramodi) July 27, 2025
তবে এটা যে মোদির নিজের মনের কথা নয়, বাঙালির প্রতি তাঁর যে আদতে সেই ভালোবাসা নেই তা স্পষ্ট করে দেয় বাংলার শাসক দল তৃণমূল। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ স্পষ্ট জানান, প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister) মনের কথা বলে কিছু নেই। উনি স্ক্রিপ্টে (script) পড়েন। মমতা বড়জোর তথ্যপরিসংখ্যান দেখে নেন। বক্তব্য নিজে বলেন। ঘুরে ঘুরে বলেন। প্রধানমন্ত্রীর দুদিকে দুটি টেলিপ্রম্পটার থাকে। তাই দেখে বলেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর মনের কথা বলে কিছু হয় না। পুরোটাই স্ক্রিপ্ট রাইটারের মনের কথা।

আরও পড়ুন: রোজভ্যালির সঙ্গে ‘অংশীদারিত্বের’ চুক্তি! প্রমাণ তুলে মিঠুনকে চার প্রশ্ন কুণালের

সেই সঙ্গে কোন পরিস্থিতিতে মোদি এই কাহিনী নিজের মুখে বলছেন, তা বলতে গিয়ে কুণাল বলেন, এখন দেখেছেন বাংলা নিয়ে চাপ খেয়ে গিয়েছেন। এখন দেখেছেন বাংলা ও বাঙালির উপর সন্ত্রাস দেখাতে গিয়ে বাংলা ও বাঙালি ক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছে। তাই ক্ষুদিরাম বোসের (Kshudiram Bose) নাম তারা ওখানে ব্যবহার করলেন। এটা প্রধানমন্ত্রীর স্ক্রিপ্ট যিনি লিখেছেন তার কৌশল।

–

–

–

–

–

–
–
–