নজরদারি এলাকা বেড়েছে বিএসএফ-এর। তার সুফল হিসাবে এখনও বন্ধ হয়নি বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ। প্রতিদিন ধরা পড়ছে অনুপ্রবেশকারী। এদিকে নিরীহ গ্রামবাসীদের উপর রাগ মেটাতে ছাড়ছে না বিএসএফ। এবার বিএসএফ-এর বেধড়ক মারে হাসপাতালে ভর্তি মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের গ্রামবাসীরা।

অভিযোগ হঠাৎ করেই রবিবার রাত্রে বেলায় মিঠিপুর হালদারপাড়া এলাকায় তিন থেকে চারজন বিএসএফ জওয়ান হঠাৎ এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ করতে থাকে। অভিযোগ তাদেরকে গরু পাচারকারী সন্দেহে মারধর করা হয়। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, তারা সন্ধ্যা বেলায় নিজের বাড়ির বাইরে মোড়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেই সময়েই এই অত্যাচার চালায় বিএসএফ।

সম্প্রতি বিজেপি তাদের বাংলা বিরোধী চক্রান্ত কার্যকর করতে কাজে লাগিয়েছে বিএসএফকে। কখনও জোর করে রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে ভারতের নাগরিকদের ভিনদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে তারা। কখনও পেলোডারে চাপিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে সীমান্তের ওপারে। আর এবার বাংলার নাগরিকদের গ্রামে ঢুকে নির্বিচারে লাঠিপেটা।

এদিনের ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৫ থেকে ১৬ জন সাধারণ গ্রামবাসী। আহতদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেলেন খোদ তৃণমূলের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান।

আরও পড়ুন: বাংলায় অস্তিত্ব সংকটে ভুগবে! নানুরের শহিদ মঞ্চ থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ ফিরহাদের

ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আখরুজ্জামান। বিএসএফকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন মন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, গরু পাচারকারীদের ছেড়ে দেওয়া হলেও নিরীহ গ্রামের বাসিন্দাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। এই ধরনের অত্যাচার কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

–

–

–

–

–
–
–
–