যতবারই তাঁকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হয়, ততবারই ঘুরে দাঁড়ানোর রাস্তা খোঁজেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এবারও তার ব্যতিক্রম নয় খড়্গপুরে দলীয় কর্মসূচি করছেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি আর শুভেন্দু-শিবির ছেড়ে লড়াকু দিলীপের শিবিরে ঘেঁষছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। সম্প্রতি ভাইরাল ভিডিও ঘিরে চর্চায় দিলীপ। এই বিষয়ে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতেই সোমবার খড়্গপুরের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক সারলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, সঙ্গে ছিলেন লকেট।

দীর্ঘদিন পর সোমবার দুপুরে ঝাপেটাপুরের পার্টি অফিসে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee) সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন দিলীপ। ছিলেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সমিত মণ্ডল, রাজ্য নেত্রী সোনালি মুর্মু। এই বৈঠকে জেলা সাংগঠনিক স্তরে রদবদল নিয়ে আলোচনা হয়।

আগে বিজেপিতে দিলীপ-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হলেও ২০২১-এর নির্বাচনের পরে শুভেন্দু শিবিরের দিকে ঝুঁকেছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু বিজেপির অন্দরের খবর, সেখানে পাত্তা পাওয়া তো দুরস্ত, সামান্য সম্মানটুকুও জোটেনি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে জেতা আসনে হেরেছেন লকেট। এদিকে দিলীপকে গোষ্ঠী কোন্দলে জেতা আসন খড়্গপুর থেকে সরিয়ে দুর্গাপুরে পাঠায় বিজেপির দলবদলু বঙ্গ নেতৃত্ব। হারেন দিলীপও। এই পরিস্থিতিতে হয়তো কিছুটা “শত্রুর শত্রু বন্ধু” ফর্মুলায় কাছাকাছি দিলীপ-লকেট।

ইতিমধ্যেই দিলীপ ঘোষ ইঙ্গিত দিয়েছেন, ২০২৬-এ তাঁকে খড়্গপুর বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতেই আগ্রহী তিনি। তবে দলের কাছে কোনও দাবি করেননি বলে জানান দিলীপ৷ তবে, এখন খড়্গপুরের বিধায়ক তাঁর দলের হিরণ চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত৷ যদিও মাঝে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দূরত্বের খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। সুতরাং দিলীপ চাইলেই যে খড়্গপুর আসন পাবেন- এমনটা নাও হতে পারে। তবে এই পরিস্থিতিতে দিলীপ-লকেট হৃদ্যতা বাড়লে গেরুয়া শিবিরের অন্তরের সমীকরণ পাল্টে যেতে পারে। কারণ বর্তমান রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য দিলীপের যথেষ্ট কাছের। এখন শিবির বদলে লকেট কোনও সুবিধা পান কি না সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন- মায়ের প্রাণভিক্ষা চেয়ে ইয়েমেনে আবেদন মিশেলের, মৃত্যুদণ্ডের মুখে ভারতীয় নার্স

_

_

_

_

_

_
_
_
_
_