ইয়েমেনে ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার (Nimisha Priya) মৃত্যুদণ্ডের সাজা খারিজ নাকি সাময়িকভাবে স্থগিত তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটলো না। কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে ইয়েমেনের কর্তৃপক্ষ মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে। আবার কিছু রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই ধরনের দাবি ভুয়ো।গত ১৬ জুলাই মৃত্যুদণ্ড পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল নিমিশার। কিন্তু সম্প্রতি ইয়েমেনের রাজধানী সানায় দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা খারিজ করা হয়েছে বলে খবর মেলে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ইয়েমেন (Yemen) বা এদেশের তরফ থেকে কোনও সরকারি বিবৃতি বা ঘোষণা না হওয়ায় গোটা বিষয়টা স্পষ্ট নয়।

খুনের অপরাধে ২০১৭ সাল থেকে ইয়েমেনে জেলেবন্দি রয়েছেন নিমিশা। ২০১৮ সালে এই মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় ইয়েমেনের আদালত। ভারতীয় নার্সের ফাঁসি আটকাতেএত বছর ধরে আইনি লড়াই চালিয়ে এসেছে নিমিশার পরিবার। অবশেষে এবার কি তবে স্বস্তি? দীর্ঘকালীন কূটনৈতিক ও আইনি লড়াইয়ের পর ভারতীয় সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মগুরু কান্দাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার দফতর (Kanthapuram AP Abubakker Muslaiyar’s office)নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড খারিজ হয়েছে। মুসলিয়ার নিজেই এই বিষয়টা নিয়ে ইয়েমেনের ধর্মীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। তারপরই সাজা খারিজের তত্ত্ব সামনে আসে। মুসলিয়ার অফিস থেকে বলা হয়, ‘নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড আগে স্থগিত করা হয়েছিল, এখন তা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। সানায় এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে আগের স্থগিত সাজা পুরোপুরি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।’ এরপরই জল্পনা বাড়তে থাকে। এই অবস্থায় সরকারি সূত্রের দাবি করে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানায় যে ইয়েমেনে নিমিশার মৃত্যুদণ্ড খারিজ করা হয়নি। যে দাবি করা হচ্ছে তা নাকি পুরোপুরি ভুল। যদিও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সরকারিভাবে ইয়েমেন বা ভারতের তরফে কিছু জানানো হয়নি। অসমর্থিত সূত্রের খবর ভারতের বিদেশমন্ত্রক নাকি জানিয়েছে যে নিমিষার মৃত্যুদণ্ড বাতিল সংক্রান্ত দাবি নাকি তথ্যভিত্তিক নয়। এই নিয়ে যে প্রচার চলছে তা বিভ্রান্তিকর।

–

–

–

–

–

–

–

–
–
–
–
–
–