কেন্দ্রের অধীনে থাকা ডুয়ার্সের চারটি চা-বাগানের শ্রমিকদের পিএফ বকেয়া রয়েছে ৯ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা! শুক্রবার রাজ্যসভায় সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Ritabrata Banerjee) প্রশ্নের চাপে পড়ে লিখিতভাবে স্বীকার করে নিলেন কেন্দ্রের ভারী শিল্প মন্ত্রকের (Ministry of Industry) রাষ্ট্রমন্ত্রী ভূপতিরাজু শ্রীনিবাস ভার্মা।

অধিবেশনে লিখিত প্রশ্ন দেন ঋতব্রত। তথ্য তুলে সত্যিটা জানতে চান তিনি। ওই তথ্যের চাপে পড়ে সত্যি স্বীকার করতে বাধ্য হন মন্ত্রী। অধিবেশনের পর ঋতব্রত বলেন, চা-বাগানে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে লড়ে যাচ্ছে আইএনটিটিইউসি (INTTUC) অনুমোদিত তৃণমূল চা-বাগান (tea garden) শ্রমিক ইউনিয়ন। অধিবেশন শুরুর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ চার চা-বাগান অ্যান্ড্রু ইয়ুল গ্রুপের কারবালা, বানারহাট, চুনাভাট্টি এবং নিউডুয়ার্সের শ্রমিকদের সঙ্গে কনভেনশন করা হয়। তাঁরাই তথ্য দেন ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রভিডেন্ড ফান্ডের (PF) টাকা পাচ্ছেন না।

রাজ্যসভায় একটি প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি জানিয়েছেন, জমা না পড়া টাকার পরিমাণ ৯ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা। শ্রমিকদের হকের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। গোটা বিষয়টি মোই সরকারের ‘জুমলা’ বলে কটাক্ষ করেন ঋতব্রত। এই পরিসংখ্যানকে ভয়াবহ বলে আখ্যা দিয়েছেন ঋতব্রত। শ্রমিকদের টাকা আটকে রেখে নরেন্দ্র মোদির সরকার অপরাধ করছে বলে দাবি করেন তিনি। চা-শিল্প নিয়ে বড় বড় কথা বলা হলেও চারটি বাগানের (tea garden) চা-শ্রমিকদের ন্যায্য পিএফ (PF) কেন জমা পড়ল না এবং এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে কেন মামলা করা হবে না সেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ।

আরও পড়ুন: বিরোধী সাংসদদের কণ্ঠরোধে দেশের পার্লামেন্টে ‘সেনা’! নজিরবিহীন ইতিহাস তৈরি মোদি সরকারের

উল্লেখ্য, সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই রাজ্যসভায় চা-বাগানের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শ্রমিকদের পিএফ দেওয়া হচ্ছে না বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি।

–

–

–

–

–

–
–
–
–