বাংলার মানুষকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিতে একবারও দ্বিধা করছে না বিজেপি শাসিত রাজ্যের সরকারগুলি। ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে যেভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে বাংলাভাষী মানুষদের এবার সেই অত্য়াচারের নজির বাংলায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির উপর তুলে ধরল নির্লজ্জ অসম (Assam) সরকার। বাংলাভাষী নাগরিকরে নাগরিকত্ব প্রমাণে নথি নিয়ে অসমের আদালতে তলব করা হল বাংলার নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধানকে। অসম ফরেনার্স ট্রাইবুনালের (Foreigners’ Tribunal) এই নোটিশকে বাংলার সার্বভৌমত্বের উপর চরম আঘাত বলে দাবি বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের।

উত্তরের একাধিক রাজ্যের মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে তৎপর অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himant Biswa Sarma) প্রশাসন। সেই নক্কারজনক উদ্দেশ্যে এবার বাংলা মানুষ, তথা একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির উপর চাপানোর চেষ্টায় হিমন্ত সরকার। কোচবিহারের মাথাভাঙার হজরতহাট-২ পঞ্চায়েতের প্রধানকে (Panchayat pradhan) ডেকে পাঠানো হল অসমে ফরেনার্স ট্রাইবুনাল (Foreigners’ Tribunal) কোর্টে। ২৭ অগাস্ট তাকে সময় বেধে দিয়ে উপস্থিত থাকার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

এনআরসি ইস্যুতে এভাবে বাংলার জনপ্রতিনিধিকে তলবে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ তৃণমূলের। এমনভাবে বাংলার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে শিকার করা হচ্ছে যেন বাংলাও অসমেরই আওতায় পড়ে, কটাক্ষ শাসকদলের। বাংলাকে অপমান, হেনস্থা করা ও বাঙালিদের অবৈধ ঘোষণা করার এক নোংরা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বিজেপি। এমনকি যারা আইনি ও নির্বাচিতভাবে জয়ী তাঁদেরও ছাড়া হচ্ছে না, অভিযোগ তৃণমূলের।

বাংলার অপমানে সরব তৃণমূলের দাবি, এটা প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও বাংলার সার্বভৌমত্ব, বাঙালির সম্মানের উপর আঘাত। বাঙালি চুপ করে থাকব না। বাংলার মানুষের পরিচয় সমঝোতার বিষয় নয়, নাগরিকত্ব বিচারের বিষয় নয়।

–

–

–

–

–

–
–
–
–