রেলের পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রশ্নে আবারও চরম বঞ্চনার শিকার পশ্চিমবঙ্গ। লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব যে তথ্য দিয়েছেন, তাতে স্পষ্ট যে, ‘অমৃত ভারত স্টেশন যোজনা’র প্রথম পর্বে সারা দেশে মোট ১০৫টি স্টেশনে কাজ শেষ হয়েছে, যার মধ্যে বাংলার কপালে জুটেছে কেবল একটিই—বর্ধমান জেলার পানাগড় স্টেশন।

অথচ এই তালিকায় রয়েছে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা-সহ একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যের একাধিক স্টেশনের নাম—আমেদাবাদ, সোমনাথ, সুরাট, ভুবনেশ্বর, পুরী, প্রয়াগরাজ, গাজিয়াবাদ, রামনগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন যেখানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, এই তথ্যই প্রমাণ করে, মোদি সরকারের রেল উন্নয়ন প্রকল্পও রাজনীতির ঊর্ধ্বে নয়। রাজ্য ও বছরভিত্তিক হিসেব চেয়ে অভিষেকের প্রশ্নের জবাবে যে পরিসংখ্যান রেলমন্ত্রী পেশ করেছেন, তাতে বাংলার প্রতি চূড়ান্ত অবহেলা স্পষ্ট।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১৩৩৭টি স্টেশনকে ‘অমৃত ভারত’ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু প্রথম পর্বে সম্পূর্ণ হওয়া ১০৫টি স্টেশনের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ প্রায় অনুপস্থিত। পানাগড় স্টেশনকে কাগজে-কলমে ‘সম্পূর্ণ’ দেখানো হলেও, বাস্তব চিত্র বলে, এখনও সেই কাজ অনেকটাই অসম্পূর্ণ।

তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্যের মানুষকে রেলের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে। কেন্দ্রের এই দৃষ্টিভঙ্গিকে “নির্লজ্জ বৈষম্য” বলে কটাক্ষ করেছেন অভিষেক। তাঁর প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে রেলমন্ত্রীর অস্বস্তি যেন আরও স্পষ্ট হয়েছে, বলছে রাজনৈতিক মহল।সারা দেশে রেল পরিকাঠামোর বিকাশকে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ বললেও, বাংলার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে কেন্দ্র—এ অভিযোগ ফের নতুন করে প্রমাণিত হল লোকসভার এই সরকারি উত্তরে।

আরও পড়ুন – চার জেলার ‘দায়’ উদ্ধার শমীকের: ঘোষণা জেলা সভাপতির নাম

_

_

_

_

_
_
_
_