জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিত পথে আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় ঘেরাও অভিযানের ডাক তৃণমূল-সহ বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার। নিবিড় সংশোধনীর নামে বিহারের ভোটার তালিকা থেকে যেভাবে নাগরিকদের নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই বিরোধীদের এই ঘেরাও অভিযানের প্রস্তাব দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েই এই কর্মসূচিতে শামিল হচ্ছে ইন্ডিয়া জোটের বিরোধী দলগুলো। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আপ এখন জোটে না থাকলেও তৃণমূলের সঙ্গে সুসম্পর্কের সুবাদে এই আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে তারাও।

লক্ষণীয়, কয়েকদিন আগে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে বিজেপি-কমিশনের ভোটচুরির বিষয়ে আলোচনা হয় লোকসভায় তৃণমূল দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর মধ্যে।

তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো দলের সব সাংসদই সোমবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে ঢুকে যাবেন সংসদ ভবনে। বিরোধীরা বৈঠকে বসবেন নিজেদের মধ্যে। তারপরেই শুরু হবে নির্বাচন কমিশন অভিযান। বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি, তামিল, মালয়ালম, মারাঠি-সহ প্রতিটি ভাষাতেই থাকছে পোস্টার- প্ল্যাকার্ড। ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা এই পোস্টার এবং প্ল্যাকার্ড বুকে ধরে এগিয়ে যাবেন নির্বাচন কমিশনের দিকে। তৃণমূল সাংসদদের বুকে থাকবে জয় হিন্দ, জয় বাংলা লেখা ব্যাজ। যতদিন সংসদ চলবে ততদিন বুকে থাকবে এই ব্যাজ। কমিশন ঘেরাও অভিযানে সাংসদরা তুলবেন ভোট চুরির বিরুদ্ধে আওয়াজ। দেবেন স্লোগান। বিজেপি এবং কমিশনকে সমঝে দেবেন এসআইআরের অজুহাতে ভোটার তালিকায় কারচুপির প্রশ্নে কোনও আপস নয়।

তৃণমূলের সুস্পষ্ট হুঁশিয়ারি, বিজেপি-কমিশন যৌথ চক্রান্তের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে সংসদের ভেতরে-বাইরে। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বললেন, বিজেপি পরিকল্পিতভাবে বাংলা ভাষা এবং বাংলার মনীষীদের অপমান করছে। ভারত বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য, বহু ভাষা, সংস্কৃতি এবং বহুত্ববাদের দর্শনে বিশ্বাসী। বিজেপি ঠিক করে দেবে না এই দেশের মানুষ কোন ভাষায় কথা বলবেন। সোমবারের বিক্ষোভে বাংলা-সহ বিভিন্ন ভাষার পোস্টার, ব্যানার থাকবে। বাংলা, তামিল, মালয়ালম, মারাঠি, হিন্দি, ইংরেজি-সহ বিভিন্ন ভাষায় আমরা আমাদের দাবি তুলে ধরব।

আরও পড়ুন – ভারতীয় বিমানের আকাশপথ বন্ধের মাশুল! দু’মাসে পাকিস্তানের ক্ষতি ১২৭ কোটি

_

_

_
_

_

_