বড় ম্যাচ জিতে পরের ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়ার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটালো ইমামি ইস্টবেঙ্গল এফসি (EEBFC)। আর অন্যদিকে ডুরান্ড কাপে (Durand Cup) অভিষেক হতে না হতেই ফাইনালে পৌঁছে ইতিহাস তৈরি করল ডায়মন্ড বাহিনী (DHFC)। সেমিফাইনালে ম্যাচের ফলাফল DHFC ২-১ গোলে পরাস্ত করল EEBFC-কে। অঘটনের ডুরান্ডের আশা শুরু থেকেই ছিল। যেভাবে গোটা সিরিজে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) দল নিজেদের দক্ষতা দেখিয়েছে তাতে ডায়মন্ড হারবার এফসি কর্তারা শুরুতেই বলেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে লড়াই সহজ হবে না। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কার্যত সেই কথারই প্রতিফলন দেখা গেল। ৫৫ শতাংশ বল পজিশন পেয়েও সেভাবে জ্বলে উঠতে পারল না লাল হলুদ মশাল। প্রথমার্ধ থেকে দ্বিতীয়ার্ধে উত্তেজনা বেড়েছে, কিন্তু ইস্টবেঙ্গলকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দেয়নি DHFC। ফুল টাইম খেলা শেষে কোর্তাজার – জবির গোলে ইতিহাস তৈরি করে ডুরান্ডের ফাইনালে ডায়মন্ড হারবার এফসি।

ধারে ভারে এগিয়ে থেকেও খেলতে নেমে কখনই ম্যাচ একতরফা করে উঠতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধে অস্কারের দলকে পুরোপুরি রুখে দেয় ডায়মন্ড কোচ কিবু ভিকুনার গেমপ্ল্যান। তবে অনবদ্য প্রথম ৪৭ মিনিটের দেখা মিলেছে। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই গতি বাড়ে দুই দলের। ৬৫ মিনিটে কোর্তাজার অসাধারণ ব্যাকভলিতে এগিয়ে যায় DHFC। কিন্তু আনন্দ উদযাপনের মুহূর্ত তৈরি হতে না হতেই লাল-হলুদকে সমতায় ফেরান আনোয়ার আলি। ৭২ মিনিটে ট্রাম কার্ড খেলেন অস্কার, সল ক্রেসপোর জায়গায় মাঠে নামেন রশিদ। ব্যক্তিগত জীবনে এত বড় একটা শোকের পরিসরের মাঝেও তাঁর স্পোর্টিং স্পিরিটকে কুর্নিশ জানায় স্টেডিয়াম। তবে ব্রুজোঁর আশায় শেষ পেরেক পুঁতে দেন প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গলি তারকা। ডায়মন্ড হারবারের জয় নিশ্চিত করতে ৮৩ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের জালে জড়াতে ভুল হয়নি জবি জাস্টিনের। সুযোগ পেয়েও গোল মিসের খেসারাত দিল ইস্টবেঙ্গল। শেষ মুহূর্তে অফ সাইড না হলে হয়তো আরও একটা গোল হজম করতে হত অস্কারকে। ২০২৫-এর ডুরান্ড ফাইনালে আগামী শনিবার নর্থইস্ট ইউনাইটেডের মুখোমুখি বাংলার দল ডায়মন্ড হারবার এফসি।

আরও পড়ুন- বাঁকুড়ার ডেকরেটার্স মালিক খুন মামলায় দোষী সাব্যস্ত! কর্মী-সহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

_

_

_

_

_

_

_

_