ভিউ বাড়াতে ইউটিউবে (You Tube) অশালীন, নিষিদ্ধ কনটেন্টে না সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এবার থেকে বাকস্বাধীনতার দাবি করে ‘যা খুশি তাই’ পোস্ট করা যাবে না। সমাজমাধ্যমে ইনফ্লুয়েন্সাররা নিজের বক্তব্যের বাণিজ্যিকীকরণ করার চেষ্টা করেন। তাই কোনও কনটেন্ট যদি নিষিদ্ধ তালিকার মধ্যে পড়ে তাহলে বাকস্বাধীনতাকে রক্ষাকবচ করে পার পাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে আইন মতো উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।

গোটা বিষয়টির সুত্রপাত রণবীর ইলাহাবাদিয়ার একটি বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে। ‘ইন্ডিয়া’জ গট ল্যাটেন্ট’ (India’s Got Latent) নামে সেই অনুষ্ঠানে রণবীর এক প্রতিযোগীকে বলে বসেন, “বাবা-মাকে সঙ্গম করতে দেখবে, না কি নিজেও এক বার যোগ দিয়ে তাঁদের সঙ্গম স্থায়ী ভাবে বন্ধ করতে উদ্যত হবে?” এরপরই দেশ জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। চাপের মুখে ক্ষমা চেয়েছিলেন জনপ্রিয় ইউটিউবার। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামেনি। মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। এরপর সময় রায়না (Samay Raina), বিপুল গয়াল, বলরাজ পরমজিৎ সিং ঘাই, সোনালি ঠাকুর এবং নিশান্ত জগদীশ তনওয়ারেরও নাম জড়ায় ওই একই ঘটনায়। শীর্ষ আদালতে ইতিমধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন পাঁচ জন। এবার সোমবার আদালত নির্দেশ দেয় ওই পাঁচজনকে নিজেদের চ্যানেল থেকেও সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আর এবার থেকে এই ধরণের ঘটনায় ইউটিউবাররা বাক্স্বাধীনতার অধিকারকে হাতিয়ার করে নিজেদের দায় ও দোষ ঢাকতে পারবেন না।

–

–

–

–

–

–

–

–

–