Thursday, August 28, 2025

জারি উন্নয়ন, তবু ভোট কম কেন? দক্ষিণ দিনাজপুর-জঙ্গিপুর বৈঠকে প্রশ্ন তুলে বার্তা অভিষেক

Date:

Share post:

বিধানসভা ভোটকে নজরে রেখে জেলাওয়ারি বৈঠক করছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং জঙ্গিপুর সংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অভিষেক। ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও। সেখানে অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য সরকারের উন্নয়ন জারি থাকলেও, ভোট কম কেন?

এদিন দুই জেলার তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের সঙ্গেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের একাধিক বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নেতৃত্বকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সেখানকার ছটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তিনটিতে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে, যাবতীয় উন্নয়ন সত্ত্বেও সেখানকার ভোট তৃণমূলের অনুকূলে এল না কেন তার আত্মবিশ্লেষণ এবং প্রয়োজনীয় সমাধান জরুরি। সেখানে আরও বেশি করে দলীয় নেতৃত্বকে-জনপ্রতিনিধিদের সময় দিতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে বিজেপির বিপদ। আরও বেশি করে বুথে বুথে যেতে হবে। জঙ্গিপুর সংগঠনিক জেলা মধ্যে যে ৯টি বিধানসভা রয়েছে তার সব ক’টিতেই জিততে হবে এই প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নামতে হবে ২০২৬-এর আগে। নির্দেশ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।

আর মাত্র কয়েক মাস। এই বৈঠকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সাতজন নেতৃত্ব অংশগ্রহণ করেন। মন্ত্রী তথা হরিরামপুর বিধায়ক বিপ্লব মিত্র, কুশমন্ডি বিধায়ক রেখা রায়, কুমারগঞ্জ বিধায়ক তোরাফ হোসেন মন্ডল, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অম্বরীশ সরকার, দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল, জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি স্নেহলতা হেমব্রম এবং দক্ষিণ দিনাজপুর আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি নাজিমুর রহমান। জঙ্গিপুর সংগঠনিক জেলার ক্ষেত্রে ছিলেন সভাপতি খলিলুর রহমান, চেয়ারম্যান জাকির হোসেন-সহ অন্যরা।

এর আগে অভিষেক (Abhishek Banerjee) নেতৃত্বকে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলস্তরে মানুষের মধ্যে নানা প্রকল্পের মাধ্যমে পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। দুয়ারে সরকার থেকে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের সমস্যার সমাধান করছেন। বুথে বুথে প্রচুর অর্থ দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়গুলি মানুষের সামনে তুলে ধরার উপদেশ দিয়েছেন। জেলার বিধায়ক-বিধায়িকা-সহ নেতৃত্বদের মানুষের কাছে যেতে হবে। তাঁদের সমস্যা শুনতে বলেছেন। ব্লকস্তরে এমনকী অঞ্চলস্তরেও মানুষের পাশে যেতে হবে তাঁদের সমস্যা শুনতে হবে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। এ ছাড়াও যে-সকল জায়গায় তৃণমূলের সংগঠনিক শক্তি কম রয়েছে সেখানে জোর দেওয়ার উপদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আগামীতে নির্বাচনের আগে প্রত্যেকটি ব্লক ও টাউনের নতুন কমিটি গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে যার সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য।

spot_img

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...