বৃষ্টি, প্রতিকূল পরিস্থিতি বা দুর্গমতা যাতে আর স্বাস্থ্য পরিষেবায় বাধা না হয়, তার জন্য শুরু রাজ্যের তৎপরতা। প্রত্যন্ত এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে চালু হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার মোট ২১০টি মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট (medical unit) কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন চিকিৎসা পরিষেবা (health service) পৌঁছে যাবে সাধারণ মানুষের দুয়ারে, তেমনই প্রকল্পে নতুন করে কর্মসংস্থানের পথ তৈরি হবে, পরিকল্পনা স্বাস্থ্য দফতরের।

দুয়ারে হাসপাতাল পরিষেবায় প্রতিটি ইউনিটে চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও মেডিক্যাল অ্যাটেনডেন্ট থাকবেন। গাড়িগুলিতে ইসিজি, রক্ত সংগ্রহ ও পরীক্ষার সুবিধা থাকবে। প্রতিটি ইউনিটে রোগী দেখার জন্য আলাদা পরীক্ষাকক্ষ থাকবে। স্বাস্থ্য পরিবহণ শাখার ডিজাইনে তৈরি এই ইউনিটগুলিতে ফাইভ-জি সুবিধা সংযুক্ত থাকবে। ইউনিটগুলির অবস্থান ভেহিকেল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইসের মাধ্যমে সরাসরি স্বাস্থ্যভবন থেকে নজরদারি করা যাবে। এর মধ্যে প্রায় ৩০টি ইউনিটে পোর্টেবল এক্স-রে এবং ইউএসজি-র সুবিধাও থাকবে।

প্রথম পর্যায়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে জঙ্গলমহল ও চা-বাগান এলাকায়। তবে গোটা রাজ্যেই পৌঁছে যাবে ইউনিটগুলি (medical unit)। প্রতিটি গাড়ির জন্য আনুমানিক খরচ ৪০ লক্ষ টাকা। যেসব ইউনিটে এক্স-রে এবং ইউএসজি-র সুবিধা থাকবে, তাদের খরচ আরও বেশি। সব মিলিয়ে প্রকল্পে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করবে রাজ্য।

আরও পড়ুন: রইল অর্ধসমাপ্ত ঘর, দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু মা ও দুই মেয়ের: পাশে দাঁড়ালেন অভিষেক

এই প্রকল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হচ্ছে। মাসে ১৬ হাজার টাকা বেতনে ২৩১ জন চালক এবং ১৫ হাজার টাকা বেতনে ২৩১ জন মেডিক্যাল অ্যাটেনডেন্ট (medical attendant) নিয়োগ করবে রাজ্য। ইতিমধ্যেই এই মর্মে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, বিনামূল্যের চিকিৎসা, স্বাস্থ্যসাথী এবং ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের পর এই উদ্যোগে রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও সহজলভ্য হবে।

–

–

–

–

–