উত্তরকন্যা থেকে বেরিয়ে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে হঠাৎই গাড়ি থেকে নেমে পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিরীষতলায় নেমে হেঁটেই এগিয়ে যান রাস্তার দু’ধারে থাকা জনতার দিকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে পেয়েই আবেগে উচ্ছ্বসিত জলপাইগুড়িবাসী। চিঠির মাধ্যমে জানালেন একগুচ্ছ আবেদনও। আনন্দ চন্দ্র কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার আবেদন জানালেন কলেজের প্রিন্সিপাল। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুদানের আবদার জানান তেঁতুলতলা কালীমন্দির দুর্গাপুজোর সদস্যরা। সকলের কথা শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন দাঁড়িয়ে থাকা বাসিন্দা, স্কুল-পড়ুয়াদের সঙ্গে। আদরে ভরিয়ে দেন তাঁদের। এদিন অরবিন্দনগরের প্রশাসনিক জনসভায় যোগ দেওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাত মৃৎশিল্পীরা। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই উন্নয়নের আলো দেখেছেন তাঁরা তাই ধন্যবাদ জানান শিল্পীরা। মাটির তৈরি হস্তশিল্পের সম্ভার ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে। জলপাইগুড়ির আসমর শিরীষতলা থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার হেঁটে জলপাইগুড়ি এসি কলেজ-সংলগ্ন এবিপি শ্রী ময়দানে সভাস্থলে পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসার পথে শুনলেন সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সমস্যা। শিল্পীদের নাচ-গানে মুখরিত হয়ে উঠেছিল পরিবেশ। পুজোর আগে প্রিয় মুখ্যমন্ত্রীকে পেয়ে কার্যত উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয় জলপাইগুড়িতে। ঢাক, ঢোল, কাঁসরঘণ্টা, উলুধ্বনিতে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান জলপাইগুড়িবাসী।

আরও পড়ুন – নেপালে শান্তি চেয়ে কবিতা লিখলেন উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী

_

_

_

_

_

_

_

_
_