Saturday, November 15, 2025

পায়ের কাছে রবীন্দ্রনাথ-বঙ্কিমচন্দ্রের ছবি, তৃণমূল বলল ‘ক্ষমা চান সুকান্ত’

Date:

Share post:

কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Bhattacharya) পায়ের কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র। বাংলার অপমান, বাঙালির অপমান, জাতির অপমান, দেশের অপমান। এখনই ক্ষমা চান সুকান্ত, দুঃখপ্রকাশ করুন। বৃহিস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি জানালেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) এবং মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

ক্ষুদিরাম থেকে উত্তম কুমার পর্যন্ত বন্ধ মেট্রো পরিষেবা, ক্ষুব্ধ যাত্রীরা

কুণাল বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস মণীষীদের শ্রদ্ধা করে। দলের কেউ কোথাও যদি কোনও বিচ্যুতির কাজ করে, তবে দল ব্যবস্থা নেয়। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ করা হয়। কিন্তু সুকান্ত মজুমদার যা করেছেন, তার জন্য মাথা নিচু করে ক্ষমা চেয়ে নিন বাংলার মানুষের কাছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, বিজেপির আসলে এটাই রাজনৈতিক সংস্কৃতি। একসময় ওরা বলেছে বোলপুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান। রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে অন্য মূর্তিতে মালা পরিয়েছে। কোনও কোনও বিজেপি নেতা বলেছেন, রবীন্দ্রনাথের গায়ের রঙ কালো ছিল, তাই কেউ তাকে কোলে নিতে চাইত না। ব্রাত্যর কথায়, বঙ্কিমচন্দ্র অন্য জাতীয়তাবোধের কথা বলেছেন। রবীন্দ্রনাথ আন্তর্জাতিকতাবাদের কথা বলেছেন। দুই ভাবনা। যার কোনওটাই ওরা বোঝে না। আর বোঝে না বলেই পায়ের কাছে বাংলার দুই মণীষীকে রাখার পরেও কোনও চেতনা নেই, মাথা নত করে ক্ষমা চাওয়ার অভিপ্রায়টুকুও নেই।

শিক্ষামন্ত্রীর কটাক্ষ, বিজেপি বাংলার ঐতিহ্য-সংস্কৃতি জানে না। আর জানে না বলেই বলেছিল বাংলায় নাকি পুজো হয় না। কিন্তু পৃথিবী বুঝেছে। দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। আর দিল্লির বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, দিল্লির দুর্গাপুজোয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি রাখতে হবে। বাংলায় এসব ভাবা যায়! মুখ্যমন্ত্রী পুজোকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছেন। অনুদান দিচ্ছেন। দুর্গাপুজো এখন পৃথিবীর আকর্ষণ। এই পুজো বাংলার, বাঙালির, বাংলার সব ধর্মের মানুষের। এরা কখনও প্রতিমার পাশে প্রধানমন্ত্রীর ছবি রাখার ফতোয়া দিচ্ছে। কখনও আমিষ না খাওয়ার ফতোয়া। কখনও মা দুর্গার বংশপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন, কটাক্ষ করছে। বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবি ঠাকুরের নাম তুলে দিচ্ছে বিশ্বভারতী থেকে। আবার কেউ বলছেন, রবীন্দ্রনাথ জন্মেছিলেন বিশ্বভারতীতে!

তৃণমূলের কটাক্ষ, এটাই বিজেপির বাংলাপ্রেম, রবীন্দ্রপ্রেম। ব্রাত্য বলেন, সুকান্ত যা করেছেন, বাংলার কেউ তা মানতে পারেন না। যারা বাংলায় থাকেন, কিন্তু বাংলাভাষী নন, তারাও বিজেপিকে পছন্দ করেন না। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী প্রকাশ্যে মাথানত করে ক্ষমা চান।

spot_img

Related articles

রবীন্দ্র সরোবরের ছয় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি: সম্পূর্ণ আইনি পথে কর্পোরেশন

প্রায় পাঁচ দশক পর রাবীন্দ্র সরোবর চত্বরে অবস্থিত ছ’টি ক্লাবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ভাড়ার চুক্তি করল কলকাতা...

বিহারে কমিশনের কারচুপি, তোপ অখিলেশের: ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ ওমরের

বিহারে এসআইআর প্রয়োগ করে ভোটারদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস-আরজেডির (RJD) মহাজোটের এটাই ছিল বিহার নির্বাচনের মূল...

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে: ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট JD(U)-এর!

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ২৪৩ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৮৯ আসনে জয়ী। নীতীশ কুমারের জেডিইউ জিতেছে ৮৫ টি আসন।...

জাদুসম্রাটের বাড়িতে বিয়ের আসর! বিজ্ঞাপন দেখে পাত্র পছন্দ মৌবনীর

জিনা বন্দ্যোপাধ্যায় জনে জনে বার্তা রুটি গেল ক্রমে, বিয়ে করছেন মৌবনী শীতের মরশুমে! মেয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পিসি সরকার, সেখান থেকেই পাত্র...