শরতে মা দুর্গা শুধুই ধর্মীয় রীতি মেনে বাংলায় আসেন না। বাংলার মানুষ, তাঁদের জীবন-জীবিকা, শিল্পকলার রূপকে গোটা বাংলা জুড়ে তুলে ধরা হয় এই দুর্গোৎসবে। সে কারণেই এই উৎসব ইউনেস্কোর হেরিটেজ (World Heritage) তকমা পেয়েছে। সেই ভাবধারাকেই ধরে রাখতে বধ্য পরিকর কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় পূজো চেতলা অগ্রণী। এবছর তাঁরা যে থিম তুলে ধরছে সেখানেও অগ্রাধিকার বাংলার শিল্পীদের। শুক্রবার পুজোর থিম (theme) প্রকাশ্যে জানালেন উদ্যোক্তারা।

রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) পৃষ্ঠপোষকতায় চেতলা অগ্রণী (Chetla Agrani) শহরের অন্য পাঁচটা বড় পুজো মণ্ডপকে টেক্কা দেয়। শুক্রবার তাঁদেরই থিম প্রকাশিত হল ফিরহাদ হাকিম, থিম শিল্পী সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সংঘের অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতে। আর সেখানেই তুলে ধরা হল কিভাবে একটি দুর্গোৎসব রাজ্যের ছয়টি জেলার শিল্পীদের প্রশিক্ষণ থেকে উপার্জনের পথ তৈরি করে দিয়েছে।

চেতলা অগ্রণী-র (Chetla Agrani) এবারের থিম (theme) ‘অমৃত কুম্ভের সন্ধানে’। প্রায় এক কোটি রুদ্রাক্ষ দিয়ে রুদ্রাক্ষের থিমে এই মন্ডপ সজ্জা। সেই কাজ করতে গিয়ে একদিকে যেমন ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত, এমনকি ভারতের বাইরে থেকেও রুদ্রাক্ষ সংগ্রহ করেছেন। তেমনই শিল্পীও সংগ্রহ করেছেন রাজ্যের ৬ জেলা থেকে – পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কলকাতা থেকে শিল্পীরা প্রায় ২০০ দিন ধরে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এবং তারপর তৈরি হয়েছে হচ্ছে চেতলা অগ্রণীর মণ্ডপ।

আরও পড়ুন: ছাত্রী মৃত্যুর পর নড়ে বসল যাদবপুর প্রশাসন: তবুও সিসিটিভি বসার সিদ্ধান্ত অন্ধকারে

ফিরহাদ হাকিম জানান, অন্যান্য মন্ডপের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই উদ্বোধন হবে চেতলা অগ্রণীর পুজো। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে তা খুলে দেওয়া হবে সর্বসাধারণের জন্য। যদিও রীতি মেনেই পরবর্তীতে আয়োজিত হবে দেবীর বোধন।

–

–

–

–

–