ফের একবার অনশন আন্দোলনে লাদাখের সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচু ও ১৫ লাদাখবাসী। ২০১৯ সাল থেকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও অমিত শাহ (Amit Shah) যে রাখেননি আজও, তার উপর এবার সোনমের (Sonam Wangchuk) উপর শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (central agency) দিয়ে যেন তেন প্রকারে ফাঁসিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নয়, কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবিতে ফের একবার সময় বেধে দিয়ে অনশনে সোনম ও তাঁর সঙ্গীরা।

২০১৯ সালে লাদাখকে কাশ্মীর থেকে আলাদা করার পরই ষষ্ঠ তফশিলের (sixth schedule) অন্তর্ভুক্ত করার নরেন্দ্র মোদির প্রতিশ্রুতি সকলেরই জানা। যার জন্য গত তিন বছর ধরে বারবার অনশনের পথে গিয়েছেন লাদাখের মানুষ। ঠিক এক বছর আগে লাদাখ (Ladakh) থেকে পায়ে হেঁটে দিল্লি এসেছিলেন তাঁরা নিজেদের দাবি নিয়ে। কিন্তু শুধুমাত্র পছন্দের ব্যবসায়ীদের খুশি করতে সেই দাবি পূরণের পথে যায়নি অমিত শাহর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, দাবি সোনম ওয়াংচুর।

এবার শুরু হয়েছে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে সোনমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার প্রক্রিয়া। একের পর এক অভিযোগ আনার পরও সোনম প্রমাণ করে দিয়েছেন তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় বেনিয়মের জন্য দায়ী কেন্দ্রের সরকার। এবার সেখানে তাই পৌঁছে গিয়েছে ‘নকল’ সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা।

নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলিকে এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা করার বিজেপির কৌশল নিয়ে সবার আগে সরব হয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সাধারণ মানুষ বা কোনও সংস্থা বিরোধিতা ও নিজেদের দাবি আদায়ের কথা বললেই যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে তাদের তাঁদেরও হেনস্থা করার হিটলারি নীতি প্রয়োগ করেন নরেন্দ্র মোদি, তা প্রমাণ করল লাদাখ।

আরও পড়ুন: তিস্তার ভয়াল রূপ! উত্তরবঙ্গে দুর্ভোগ চরমে, ধসে মৃত ১

প্রধানমন্ত্রী নিজের প্রতিশ্রুতি রাখতে পারছেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর জন্য, এবার সরাসরি এই অভিযোগ তুললেন সোনম ওয়াংচু। তাঁর অভিযোগে সম্মতি দিয়েই অনশনে লাদাখের মানুষ। সেখানেই সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk) নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) মনে করালেন, রামচন্দ্রের (Ram) কথা, যাঁর ভক্ত বলেই মোদি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ‘প্রাণ যায়ে পর বচন না যায়ে’, মনে করিয়ে ফের একবার ষষ্ঠ তফশিলের দাবি লাদাখের।

–

–

–

–