কেন রাজ্যপাল চলবেন কেন্দ্রের অঙ্গুলি হেলনে: প্রশ্ন প্রাক্তন বিচারপতি নরিম্যানের

Date:

Share post:

রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত যেন সাম্প্রতিক ভারতে একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিরোধী রাজ্য হলেই রাজ্য সরকারগুলির উন্নয়নের ধারা আটকাতে রাজ্যপালদের (Governor) ব্যবহার করেছে কেন্দ্রের সরকার (Central Government)। আর তার কারণ রাজ্যপালের নিয়োগ ও অপসারণ পদ্ধতি। দেশের গণতন্ত্রের এই মূল ব্যবস্থা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আর নরিম্যান (Rohinton Nariman)।

কেরালা থেকে তামিলনাড়ু, বাংলা থেকে মনিপুর। সর্বত্র রাজ্যপালকে দিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করা ও উন্নয়নে বাধা দেওয়ার কাজ করছেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এই বিরোধ ও অচলাবস্থা কাটাতে রাজ্যপাল নিয়োগ ও অপসারণ নিয়ে নরিম্যানের ব্যাখ্যা, সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রপতি (President) ও রাজ্যপালের (Governor) শপথবাক্য একই।‌ দু’জনেরই কর্তব্য সংবিধান ও জনগনের‌ স্বার্থ রক্ষা করা। অথচ দু’জনের নিয়োগ বা অপসারণের পদ্ধতি ভিন্ন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সাংসদ ও বিধায়কদের দ্বারা। কিন্তু রাজ্যপালকে নিয়োগ করে কেন্দ্রীয় সরকার। রাষ্ট্রপতিকে (President of India) অপসারণের একমাত্র পথ ইমপিচমেন্ট। রাজ্যপালকে (Governor) ইচ্ছে করলেই রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া যায়। নরিম্যানের পর্যবেক্ষণ, এই কারণেই রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় সরকারের মুখাপেক্ষী থাকেন।

শুক্রবার কলকাতার ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশানাল ইউনিভার্সিটি এফ জুরিডিকাল সায়েন্সেস-এ একটি বক্তৃতায় যোগ দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রোহিন্টন নরিম্যান (R Nariman)। ‘রাজ্যপাল কি কেন্দ্রের প্রহরী না, রাজ্যের প্রকৃত প্রধান’ শীর্ষক  সপ্তম এম কে নাম্বিয়ার স্মারক ভাষণ দিতে এসেছিলেন তিনি। সেখানে অতীতের একের পর এক মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় ও সাংবিধানিক ধারার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি।

আরও পড়ুন: মোদি-সফরের পাঁচদিনেই অশান্ত মনিপুর: সেনা কনভয়ে হামলায় নিহত ২ জওয়ান

সেখানেই রাজ্যপালের নিয়োগ ও অপসারণ সংক্রান্ত সাধারণ প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি রাজ্যপালের কর্মপদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর ব্যাখ্যা, বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল ফেরত পাঠানোর পর ফের পাশ করে অনুমোদনের জন্য আসলে তা কতদিন আটকে রাখা যাবে, তার স্পষ্ট কোনও সময়সীমা নেই। তবে সেই বিল ফেরত পাঠালে রাজ্যপাল অনুমোদন দিতে বা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে বাধ্য।‌ এখানেই সমস্যার সূত্রপাত।

spot_img

Related articles

বর্ষা বিদায়ে সুখবর: কমতে শুরু করছে আর্দ্রতা, কুয়াশার সতর্কতা

মৌসুমি বায়ুর বিদায়ে শীতের আগমনবার্তা বাংলায়। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা সোমবার থেকে প্রায় নেই। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে শুরু হচ্ছে শীতের...

ত্রিপুরায় ১৪ মাসের শিশুকে ধর্ষণ করে খুন! ধর্ষক পালালো অসমে

মহিলাদের প্রতি সামগ্রিক মানসিকতা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কীভাবে তলানিতে এসে ঠেকেছে ফের একবার প্রমাণ মিলল বিজেপির ত্রিপুরায় (Tripura)।...

ফের ধস উত্তরবঙ্গে, চারদিন বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক

গোটা রাজ্য থেকে মৌসুমী বায়ু বিদায় নিলেও উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে। উত্তরবঙ্গে...

ফের ওড়িশা! বাংলা বলায় মারধর বাংলার শ্রমিককে

বাঙালিদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ভাইরাসের মতো ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যার ভয়ঙ্কর উদাহরণ মিলেছে প্রতিবেশী ওড়িশা...