অ্যামিবা নাকি মানুষের মস্তিষ্ক খেয়ে নিচ্ছে! মহালয়ার সকালে তর্পণ করার জন্য জলে নামার আগে সাবধান! যেখানে সেখানে সাঁতার কাটতে যাবেন না। অজান্তেই মারণ অ্যামিবা (Brain Eating Amoeba)আপনার মাথায় ঢুকে ঘিলু খেয়ে নিতে পারে। দক্ষিণ ভারতের কেরলে ব্রেন ইটিং অ্যামিবার খোঁজ মিলতেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বাংলাতেও ছড়িয়ে পড়ছে এই জীবাণু? বাঁচবেন কী করে?

কেরলে মানুষের মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবার (Naegleria fowleri) সংক্রমণে ১৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে জোরদার আলোচনা। সাধারণ মানুষও চিকিৎসকদের এই নিয়ে প্রশ্ন করছেন। এই রোগ আসলে কী? কীভাবে সংক্রমণ ছড়ায়? এর থেকে বাঁচার উপায়ই বা কী? এই বিষয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, এটা একটা জলবাহিত রোগ যেটা কেরলে ২০১৬ সাল থেকে দেখা যাচ্ছে। এই রোগ অত্যন্ত বিরল। এ বছর ৭৭ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে যার মধ্যে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগে যেখানে বলা হতো প্রায় ৯০ শতাংশ কে নেগেটিভ হয় সেখানে এই পরিসংখ্যান অনেকটাই স্বস্তি দেয়। এই অ্যামিবা সম্পূর্ণভাবে জলে থাকে। জলে সাঁতার কাটার সময় এই সূক্ষ্ম অ্যামিবা সোজা মানুষের নাক দিয়ে ঢুকে মস্তিষ্কে প্রবেশ করে। ধীরে ধীরে ব্রেনের নার্ভগুলোকে নষ্ট করতে থাকে।

উপসর্গ কী?

কথাবার্তার মধ্যে অসংলগ্নতা, হাই ফিভার, খিঁচুনি, স্নায়বিক অক্ষমতা। প্রাথমিকভাবে, এইসব লক্ষণ দেখলে অবিলম্বে এমআরআই করতে হবে। তারপর রোগ ধরা পড়লে ভয়াবহতা বুঝে ব্রেন বায়োপসি করার প্রয়োজনীয়তা পড়ে। চিকিৎসা যথেষ্ট ব্যয়বহুল। কেরলে বেশ কিছু ওষুধ দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে তবে সবটাই ট্রায়ালে থাকায় এখনই নিশ্চিত করে কার্যকরী মেডিসিনের কথা বলা সম্ভব না।

বাংলায় কি বাড়ছে এই রোগ?

চিকিৎসক মহলের কথায়, পশ্চিমবঙ্গে এই নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। এবছর বাংলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের দিকে একটু বেশি ছিল। আসলে সার্ফেস ওয়াটারের এক ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়লে এই জীবাণু অনেক বেশি সক্রিয় হয়। এই কারণেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে এখনই এই নিয়ে খুব বেশি আশঙ্কা করার মতো কিছু ঘটেনি।

–

–

–

–
–
–
–