জি এসটি কমানোয় কেন্দ্রের কোনও ভূমিকা নেই। কৃতিত্ব রাজ্যের। এই একটাই কর ছিল। কিন্তু সেই কর বিন্যাসে সামঞ্জস্য ছিল না। তা নিয়ে প্রথম সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন্দ্র GST কমানোয় বাংলার ২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হল। কিন্তু সাধারণ মানুষের সুবিধা হওয়ায় সেটা মেনে নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার, খিদিরপুর ২৫ পল্লির দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই কথা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

কেন্দ্রের নির্দেশ মতো সোমবার থেকে লাগু হয়েছে নয়া GST হার। কিন্তু সবার কাছে ঠিকমতো তথ্য না দেওয়ায়, সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্যেও কেন্দ্রকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। জানান, রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞাপন দিয়ে স্পষ্ট হার জানানো হবে।

কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই জিএসটি হ্রান্সে সেন্ট্রাল গর্ভমেন্টের কোনও ক্রেডিট নেই। আমিই প্রথম ইনসিওরেন্স থেকে জিএসটি তোলার দাবি তুলেছিলাম। রান্নার জিরেতে জিএসটি, হিরেতে নয়- এটাই তো এদের ন্যায়বিচার! জীবনদায়ী ওষুধেও কর বসানো হয়েছে। আমাদের প্রতিবাদেই জিএসটির নিয়মে বদল আনতে বাধ্য হয়েছে।”

নাম না করে মোদিকেনিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ক্রেডিট নিচ্ছেন একজন, আত্মনির্ভরের কথা বলছেন, অথচ রাজ্যের টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা- সব বন্ধ।” মমতা স্পষ্ট জানান, “জিএসটি লাগু করে কেন্দ্র গরিব মানুষের সর্বনাশ করেছিল, আর রাজ্যগুলো থেকে টাকা তুলেছিল। ওদের এক পয়সাও খরচ হয়নি। অথচ এখন কৃতিত্ব নিতে আসছে!” তাঁর কথায়, “আমাদের ২০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়ে গেল। সংসারটা চালাব কী করে, তবে এতে মানুষের সুবিধা হবে তাই আমি খুশি। তবে যাদের কোনও ক্রেডিট নেই, তাদের জিএসটির নাম নিতে দেব না। এটা মানা যায় না। এ ব্যাপারে আমরা বিজ্ঞাপন দিয়ে আসল সত্যটা সামনে আনব।”

–

–

–

–

–

–