‘পরিযায়ী’ তকমা দিয়ে বাংলার পরিবারকে বাংলাদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে সোনালী বিবির পরিবারকে সীমান্ত পার করানোর সিদ্ধান্ত একতরফা ও ভুল ছিল, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। চার সপ্তাহের মধ্যে ওই পরিবারকে ফেরানোর নির্দেশ আদালতের।

বারবার বাংলার অপমান, বাংলা ভাষার অপমান। এবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মুখ পুড়ল আদালতে। পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে কেন্দ্রের দাবি খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। যেভাবে সোনালি-সহ অন্যদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নিয়েছিল, তার সমালোচনা করে আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন :তৃণমূল কেন বারবার ক্ষমতায়? আপনাদেরই লোকজন কী বলছেন? শুনুন কমরেড

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা সোনালী বিবি-সহ বীরভূমের দুই পরিবারের ৬জনকে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি চক্রবর্তী ডিভিশন বেঞ্চের।

এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রকে ধুয়ে দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, দেবীপক্ষের সময় সঠিকভাবে জাস্টিস পেলেন অন্তঃসত্ত্বা সোনালী খাতুন। বীরভূমের সোনালী খাতুন-সহ ৬ জন পরিযায়ী শ্রমিককে দিল্লি থেকে কেন্দ্র সরকার অনৈতিকভাবে জোর বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু মা দুর্গার আশীর্বাদ, আজকে ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রকে বলেছে, এ কি করেছেন আপনারা? এই বিতারণ সম্পূর্ণ বেআইনি। মা দুর্গার সন্তান সোনালী খাতুন, মা খেয়াল রাখেন যাতে অন্যায় না হয়! তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলায় কথা বললেই বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলি থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে, চূড়ান্ত হেনস্থা করা হচ্ছে। আজকে হাইকোর্ট চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, ওই অভিযোগ কতটা ঠিক! কেন্দ্রের সরকার কতটা অমানবিক কাজ করছিল! অমিত শাহের উচিত, প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে দুঃখপ্রকাশ করা! বিজেপি ক্ষমা চাক। অমিত শাহ হাইকোর্টের এই থেকে শিক্ষা নিয়ে অবিলম্বে ক্ষমা চান।

–

–

–

–

–
–
–