ঝড়-বৃষ্টি (Rain) কোনও কিছুই গায়ে মাখে না বাঙালি। পঞ্চমী-ষষ্ঠীতে ছাতা নিয়ে প্যান্ডেলে-প্যান্ডেলে দেখা গিয়েছে দর্শনার্থীদের। সোমবার সপ্তমীতে সকাল থেকে আকাশ মেঘলা। হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির কথাও জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের কর্তারা। তবে এখনই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে না।

মৌসম ভবন বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনার পূর্বাভাস দিয়েছে। ফলে ২-৪ অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কথা জানিয়েছে। ৩৫-৪৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রও উত্তাল হবে। এই দু’দিন বাংলা ও ওড়িশা উপকূল বরাবর উত্তর এবং মধ্য বঙ্গোপসাগরে এবং তার বাইরে সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

৩০ সেপ্টেম্বর আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত ঘনীভূত হবে। ১ অক্টোবর অর্থাৎ নবমীর দিন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। দশমী ও একাদশী ভাসতে পারে কলকাতা-সহ বাংলার বেশ কিছু জেলা।

আরও পড়ুন-সপ্তমীর শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর, ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করার প্রতিশ্রুতি অভিষেকের

দশমীতে দক্ষিণবঙ্গে এবং একাদশীতে ঝড়-বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গে বেশি। দক্ষিণবঙ্গে শনিবার থেকে কমবে বৃষ্টি। রবিবার কার্নিভালের দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকবে৷

সপ্তমীতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়্গ্রামে। অষ্টমীতেও হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি উত্তরে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে।

_

_

_

_