ফের অতি গভীর নিম্নচাপ। নবমীতে কিছুটা রেহাই দিলেও দশমী থেকেই উত্তর ও দক্ষিণ – দুই বঙ্গেই বৃহস্পতিবার থেকে শুরু বৃষ্টি। জারি হল কমলা সতর্কতা (orange alert)। দক্ষিণের জেলাগুলিতে বৃষ্টির মিশ্র খবর থাকলেও উত্তরের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে রয়েছে ধসের (land slide) সতর্কতা।

বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোথাও প্রবল বৃষ্টি দেখা গিয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। আকাশ মেঘলা থাকবে। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ভোরের মধ্যে গোপালপুর ও পারাদ্বীপের মাঝখান দিয়ে ওড়িশা ও সংলগ্ন অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করবে। এর ফলে বৃষ্টির দাপট থাকবে।

দক্ষিণবঙ্গের এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। ৬০-৬৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বওয়ার ইঙ্গিত। অতি বৃষ্টির কারণে হুগলি নদীতে নৌপথ ও রাস্তার চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে বাড়বে বৃষ্টি।

আরও পড়ুন: ধুলো ঝেড়ে প্রস্তুত কাশ্মীর, শুধু যাদের অপেক্ষা তারাই নেই

উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও দুর্যোগের পরিমাণ বাড়বে শুক্রবার থেকে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর জেলাতে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা। সোমবার থেকে বদলাবে আবহাওয়া। উত্তরের এই পাঁচ জেলার ধসের সতর্কতাও রয়েছে। সোমবার থেকে উত্তরের জেলাগুলিতে বৃষ্টি কমার ইঙ্গিত।

ইতিমধ্যেই উত্তর সিকিমে ধস-দুর্যোগ, দশমীর দিনে পর্যটকদের ভোগান্তি। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ধস উত্তর সিকিমের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কার্যত বিপর্যস্ত করে তুলেছে। ফলে দশমীর দিনেই বহু পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাকে ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঙ্গান–চুংথাং সংযোগকারী একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এখন অচল। টুং–নাগা নতুন সড়ক ধস ও সিঙ্কিং জোনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বন্ধ রয়েছে। ফিডাং–সাংলালাং রোড রিংখোলা এলাকায় ধসে থমকে আছে। একইভাবে সাংলালাং–শিপগিয়ার রোডও এডিএমএস অঞ্চলে আটকে গেছে, যদিও উদ্ধার ও পুনর্গঠনের কাজ চলছে। সবচেয়ে সংকটজনক অবস্থা চুংথাং–লাচেন রাস্তায়, যা এখনও পুরোপুরি অবরুদ্ধ।

–

–

–

–