দুর্যোগের কালো মেঘে কি পাহাড়ের আকাশ থেকে সরছে, সোমবার সকালে ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শন মিলতেই খানিকটা স্বস্তিতে পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষ। সকাল থেকে দার্জিলিঙে বৃষ্টি (Rain) হয়নি। এবার জল নামার অপেক্ষা। ইতিমধ্যেই পাহাড়ি নদীর জলস্তর কমতে শুরু করেছে বলে খবর। যদিও কিছুক্ষণ আগে পাওয়া খবর অনুযায়ী জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্ত বর্ষণ শুরু হয়েছে। তবে হাওয়া অফিস (Weather Department) জানিয়েছে আলিপুরদুয়ার ছাড়া উত্তরবঙ্গের আর কোথাও এদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। স্থানীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, আবহাওয়া পরিষ্কার হওয়ায় পর্যটকেরা পাহাড় থেকে নামতে শুরু করেছেন। সমতলেও কমেছে বৃষ্টি।

শনিবার রাত থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৬১ মিলিমিটার বর্ষণে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা সাম্প্রতিক কালে দেখা যায়নি।তিস্তা-তোর্সা-মহানন্দার জলস্তর বেড়ে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গে। প্লাবিত উত্তরের জেলার একাধিক এলাকা।ধসে গিয়েছে বহু রাস্তা, ভেঙেছে সেতু, কালভার্ট। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মিরিক, সুখিয়াপোখরি। লাফিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। তবে সোমবার সকাল থেকে দুর্যোগের পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে জানা যাচ্ছে। দুপুরের মধ্যেই নাগরাকাটা পৌঁছে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকাল থেকেও চলছে উদ্ধারকাজ। আকাশ পরিষ্কার দেখেই ঘরছাড়া বাসিন্দারা নিজেদের বাসস্থানে ফেরার তোড়জোড় শুরু করেছেন।তিস্তা ফুঁসে ওঠায় এবং ধসের কারণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ। তবে খোলা রয়েছে লাভা-গরুবাথানের রাস্তা এবং শিলিগুড়ি-কালিম্পঙের পানবু রোড। ধস নামায় শিলিগুড়ি-দার্জিলিং রোহিণী রোড বন্ধ। দার্জিলিং থেকে মংপু হয়ে শিলিগুড়ি যাওয়ার রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।মিরিক-পশুপতি-ঘুম-কার্শিয়াঙের রাস্তাতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে প্রশাসন। তবে উত্তরবঙ্গের দুর্যোগে জেরে নিউ জলপাইগুড়িগামী একাধিক ট্রেনের সূচি বদল করতে হয়েছে। প্রায় বারো ঘণ্টা দেরিতে চলছে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস।

–

–

–

–

–

–

–

–