উত্তরবঙ্গের দুর্যোগ কাটিয়ে পাহাড়ের পর্যটন (Tourism) থেকে জনজীবন সবটাই স্বাভাবিক হওয়ার পথে এগোচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে খুলে গেছিলো বক্সা, বুধবার থেকে মিরিকে শুরু হয়েছিল ট্রেকিং, এবার শুক্রবার সকাল থেকে খুলে গেল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান (Jaldapara National Park)। পর্যটকদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। বাংলা – সিকিম লাইফলাইনে অবশ্য আজও ধস (Landslide) নামায় দশ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। তবে শিলিগুড়ির দিকে বিকল্প পথে ট্রাফিক স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে প্রশাসন।
![]()
পাহাড়ের আকাশ থেকে দুর্যোগের মেঘ সরে গেলেও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির খবর মিলেছে। তার মাঝে দু একবার রোদের ঝলক দেখতে পেয়ে খুশি পর্যটকরা। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মোট চারটির মধ্যে তিনটি রুটে (শালকুমার-জলদাপাড়া, কোদাল বস্তি এবং চিলাপাতা) সাফারি চালু করল বন দফতর (Forest Department)। বিপর্যয়ের কারণে হলং রুট অবশ্য বন্ধ রয়েছে। তবে বাধা বিপত্তি কাটিয়ে সাফারির চাকা ঘুরতে শুরু করায় খুশি পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সকলেই।
![]()

অন্যদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipore Weather Department) তরফে দক্ষিণবঙ্গে শুক্রবার কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দুপুরের পর থেকে কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণ বাংলাদেশ এবং অসমের উপর থাকা দুটি ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে আগামী সপ্তাহ থেকে আবহাওয়ার বদল হবে।দক্ষিণবঙ্গে শনিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হবে।

–

–

–

–

–

–

–
–


