দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভিন রাজ্যের ছাত্রীর ধর্ষণের (Medical Student Rape in Durgapur) ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য- রাজনীতি। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ করেছে বাংলার পুলিশ প্রশাসন। বেসরকারি কলেজ হওয়া সত্ত্বেও ঘটনার গুরুত্ব বুঝে অবিলম্বে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)। শনিবার সারাদিন নীরবতা বজায় রাখার পর রাতের দিকে প্রকাশ্যে আসে সংশ্লিষ্ট কলেজের বিবৃতি। দুর্গাপুরের ধর্ষণকাণ্ডে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে প্রায় দেড় ঘণ্টা ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলেন ওড়িশার (Odisha) ডাক্তারি পড়ুয়া। প্রথমে একজনের সঙ্গে বেরিয়ে মাঝে ফিরে এসে, রাতের দিকে আবার বাইরে যান। তার মিনিট চল্লিশ পর এক সহপাঠীর সঙ্গে ফিরে আসেন বলে কলেজের তরফে জানানো হয়েছে। তাহলে কি এই সময়ের মধ্যেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আক্রান্ত ছাত্রী আগেই অভিযোগ করেছেন যে কয়েকজন যুবক তাঁকে ক্যাম্পাসের বাইরে হেনস্থা করেন। তারপর টেনে হিঁচড়ে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়!ইতিমধ্যেই তরুণীর সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে। শনিবার সকাল থেকে যখন এই খবরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি, তখন নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ ছিল কলেজ কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার দিকে। ডাক্তারি পড়ুয়ার বাবা জানান, মেয়ের বন্ধুরা তাঁকে খবর দেওয়ায় তিনি ভোরের দিকে যখন কলেজে পৌঁছন তখন তাঁকে কর্তৃপক্ষের নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এরপরই গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করে স্বাস্থ্য দফতর।

ধর্ষণকাণ্ডে (জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ (WB Police)। এবার বিবৃতি দিল দুর্গাপুরের শোভাপুর এলাকার ওই বেসরকারি কলেজ। সেখানে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাত ৭টা ৫৮ মিনিটে সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়েছিলেন তরুণী। ৮টা ৪২ মিনিটে তিনি ক্যাম্পাসে একা ফিরে আসেন। কলেজের গেটের কাছে ৫-৬ মিনিট ঘোরাঘুরি করে আবার বাইরে বেরিয়ে যান। তারপর সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাসে ফেরেন রাত ৯টা ২৯ মিনিটে। তার দু মিনিটের মধ্যে ছাত্রী নিজের হস্টেলের দিকে চলে যান। এরপরই ধর্ষণের ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে। হাসপাতালের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করছে পুলিশ। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

–

–

–

–

–

–

–
–