একদিকে উত্তরের বন্যা ও দুর্যোগবিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ বিলি। অন্যদিকে, রাজ্যজুড়ে ব্লকে-ব্লকে বিজয়া সম্মিলনী কর্মসূচি পালন। ৫ অক্টোবর থেকে শনিবার পর্যন্ত, ৭ দিনে বাংলা জুড়ে ১৩৫টি ব্লকে স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। আর রবিবার, একদিনেই রাজ্যের ১০০টি ব্লকে বিজয়া কর্মসূচি পালন করল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যজুড়ে তৃণমূল-স্তরে সাংগঠনিক শক্তি কতটা মজবুত না হলে এই বিরাট কর্মকাণ্ড সফল করা যায়! এতেই প্রমাণ হয়, তৃণমূল কংগ্রেস গোটা বাংলার ঘরে-ঘরে পৌঁছে গিয়েছে।

একদিকে যেখানে বিজেপি লোকজন ও সাংগঠনিক শক্তির অভাবে বিজয়ায় কোনওরকম উৎসব-অনুষ্ঠানের আয়োজন পর্যন্ত করতে পারেনি, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে বিজয়া সম্মিলনীর কর্মসূচি পালন করছে। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে ছাব্বিশের আগে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ আরও নিবিড় করছে স্থানীয় নেতৃত্ব। সামগ্রিকভাবে বিজয়া সম্মিলনী কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে রাজ্য জুড়ে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা শপথ নিচ্ছেন ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা-বিরোধী বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না।
গত একসপ্তাহের মতো রবিবারও উত্তরের পাহাড় থেকে দক্ষিণের সুন্দরবন— সর্বত্র তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে উপচে-পড়া ভিড় ছিল। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই দিনাজপুর, বীরভূম, বর্ধমান, মালদহ, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন বিজয়া সম্মিলনীতে ছিলেন সাংসদ-মন্ত্রী-বিধায়ক ও যুব নেতৃত্ব। সোনারপুর দক্ষিণ ও গড়বেতায় তৃণমূলের বিজয়া কর্মসূচিতে রাম-বাম ছেড়ে শতাধিক মানুষ হাতে জোড়াফুলের পতাকা তুলে নিয়েছেন। সোমবারও রাজ্যজুড়ে চলবে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ কার্যালয়েও বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন – রবিবার সন্ধ্যায় ফের মেট্রো বিভ্রাট, চূড়ান্ত ভোগান্তিতে যাত্রীরা

_

_

_

_

_

_

_