জাপানের (Japan) রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রথমবার মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন সানায়ে তাকাইচি। লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা হিসেবে মঙ্গলবার পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জিতেছেন জাপানের ৬৪ বছর বয়সি এই নেত্রী।
মঙ্গলবার জাপানের নিম্নকক্ষে ভোটাভুটিতে সানায়ে তাকাইচি পেয়েছেন ২৩৭টি ভোট। অন্যদিকে জাপানের বৃহত্তম বিরোধী দল কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-র প্রধান ইয়োশিকোকো নোদা পান ১৪৯ ভোট। উচ্চকক্ষেও সানায়ের পক্ষেই যায় ১২৫টি ভোট। ফলাফল ঘোষণার পরেই সবাই অভিনন্দন জানিয়েছেন সানায়েকে। সমাজমাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। আরও পড়ুন: দীপাবলির রাতে কলকাতা মেট্রোয় ‘বিনা টিকিটের যাত্রী’! প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা

নিজের এক্স হ্যান্ডলে মোদী লিখেছেন, “সানায়ে তাকাইচি, জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। ভারত-জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও বন্ধুত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আমি খুবই আগ্রহী। দুই দেশের এই গভীর বন্ধুত্ব ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্যও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।”

গত মাসেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন শিগেরু ইশিবা। গত দু’টি নির্বাচনে জিততে পারেননি তিনি। যা নিয়ে এলডিপি-র মধ্যেই ইশিবাকে নিয়ে অসন্তোষ জন্মাচ্ছিল। গত জুলাইয়ে জাপান পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে ইশিবাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এর মধ্যেই এলডিপি জানিয়ে দেয়, কট্টরপন্থী সানায়েকে দলের নয়া নেত্রী নির্বাচন করা হয়েছে। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ভোটে জিতলে তিনিই হতে চলেছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী।

তবে সানায়ে জাপানে নারী উন্নয়নে কিরকম ভূমিকা পালন করবেন তাই-ই দেখার। কারণ পার্লামেন্টে যেসব নারী উন্নয়নমূলক বিল আনা হয়েছে তার বিরোধিতা করেছিলেন সানায়ে। পিতৃতান্ত্রিক বলেও বিতর্ক আছে। সমকামী সম্পর্ক ও বিবাহেরও বিরোধিতা করেছেন তিনি। ফলে তিনি ক্ষমতায় আসায় খুব একটা খুশি নন প্রান্তিক লিঙ্গের মানুষ ও মহিলারাও।

–

–

–

–

–
