অরুণাচল প্রদেশে একের পর এক আত্মহত্যায় চাঞ্চল্য। প্রথমে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে আত্মহত্যা করেন উনিশ বছরের এক তরুণ। ঠিক তার পরের দিনই সেই অভিযোগে নাম থাকা এক আইএএস আধিকারিকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে। দুই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র রহস্য ঘনিয়েছে ইটানগরে।

মৃত তরুণের নাম গোমচু ইয়েকার। কাজের সূত্রে তিনি ইটানগরে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশীরা তাঁকে ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে সন্দেহে ঘরে ঢোকেন। দরজা–জানালা খোলা ছিল। ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, গোমচুর ঝুলন্ত দেহ। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। তাতে দুই সরকারি আধিকারিকের নাম উল্লেখ করে গুরুতর অভিযোগ করেছেন গোমচু। অভিযোগ, ওই দুই আধিকারিক, যাঁদের মধ্যে একজন আইএএস অফিসার এবং অন্যজন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, যৌন হেনস্থা ও অপমান করেছিলেন তাঁকে।

সুইসাইড নোটে গোমচু লিখেছেন, সরকারি কাজে যোগ দেওয়ার পর এক আধিকারিক জানতে পারেন যে তিনি এইচআইভি আক্রান্ত। সেই তথ্য জেনেই তাঁকে নানা ভাবে ভয় দেখানো ও যৌন নিপীড়ন করা শুরু হয়। আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েও শারীরিক সম্পর্কের দাবি করা হত বলে অভিযোগ। তাঁর নোটে আরও লেখা ছিল— “ওঁরা আমার জীবন শেষ করে দেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। আমি আর বাঁচার আশা দেখছি না।” ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন গোমচুর বাবা তোগম ইয়েকার। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন, ছেলেকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এক আইএএস অফিসার এবং এক ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।

পুলিশ প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করলেও পরে সুইসাইড নোটের বিষয়বস্তু জানার পর অভিযুক্ত দুই আধিকারিকের নাম যুক্ত করা হয় মামলায়। ঠিক তার পরদিনই নতুন করে শোরগোল ওঠে। শুক্রবার সকালে ইটানগরে নিজের বাড়ি থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই আইএএস অফিসারের দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তরুণের সুইসাইড নোটে নিজের নাম উল্লেখ রয়েছে জানতে পেরেই আত্মহত্যা করেছেন ওই আমলা। তবে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন – বিজেপি রাজ্যে চিকিৎসক মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত দাবি: ফেরার অভিযুক্ত পুলিশকর্মী!

_

_

_

_
_
_


