ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ রাজ্যে সরাসরি আঘাত না হানলেও, এর প্রভাব পড়তে পারে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়— এমনই আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দফতর। সম্ভাব্য বিপর্যয় এড়াতে ইতিমধ্যেই সর্বস্তরে সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার বিকেলে নবান্নে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা, সেচ, কৃষি, বিদ্যুৎ ও দমকল দফতরের আধিকারিকরা।

আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা অনুযায়ী, আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণেই মুখ্যসচিব সমস্ত দফতরকে বিশেষ নজরদারিতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গ ইতিমধ্যেই একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছে। তাই এবার কোনও ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। উত্তরবঙ্গকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।”

কৃষি দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, চাষিদের অবিলম্বে সতর্ক করতে হবে এবং ৩০ ও ৩১ অক্টোবর ফসল কাটার কাজ না করার পরামর্শ দিতে হবে, যাতে ফসলের ক্ষতি বা দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও সেচ দফতরকে পরিস্থিতি অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসনগুলিকেও মাঠে-ময়দানে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে উদ্ধার ও ত্রাণ দলগুলিকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব জেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে এবং এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ দলগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, কোথাও কোথাও তা ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলাতেও মাঝারি থেকে প্রবল বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।

ফলে নদীর জলস্তর হঠাৎ বৃদ্ধি, ভূমিধস ও বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, “এই দু’দিন রাজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।”

আরও পড়ুন – তমলুকে বৃষ্টিতে আলোক তোরন ভেঙে চাঞ্চল্য! তদন্তে পুলিশ, ক্লাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

_

_
_
_


