গণতন্ত্রে সবাই সমানভাবে থাকুক। সবাই যেন নিজের ভোটাধিকার পায়। বুধবার পোস্তায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন মঞ্চ থেকে এসআইআর নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, কোনও বৈধ ভোটারের নাম যেন বাদ না যায়। সংবিধানে সবার সমান অধিকার। আমরা বিভেদের রাজনীতি করি না। যারা বিভেদের রাজনীতি করে তাঁদের ঘৃণা করি। সব থেকে বড় ধর্ম হল মানবিকতা ও মনুষত্ব।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জগদ্ধাত্রী পুজোর মধ্যেই ছটপুজো হয়ে গেল। কাল এবং পরশু ছাট পুজোর জন্য ছুটি ছিল। আমার ঘাটে যাওয়ার সুযোগ মিলেছে। উদ্বোধন করেছি। পুলিশ দারুণ কাজ করেছে। পুরসভাও ভালো কাজ করেছে। এবার পোস্তাবাজার মার্চেন্টস অ্যাসেসিয়েশনের জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করলাম। এই উদ্বোধনী মঞ্চ থেকেই কৃষ্ণনগর ও চন্দননগরের পাশাপাশি চুঁচুড়া, ভদ্রেশ্বর ও অন্যান্য এলাকার জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনও করলাম। মা পূজিতা হন সর্বত্রই। আজ, মহাষ্টমীর পুজো চলছে। পুজো-উৎসব আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে। তাতেই আমরা ভালো থাকি। মানুষ ভালো থাকলে আমি ভালো থাকি।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, যখনই এলাকার কোনও সমস্যা নিয়ে গিয়েছেন, আমি চেষ্টা করেছি তা সমাধানের। বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমস্যা ছিল। আমি মলয় ঘটককে বলে সেই সমস্যাটা তো সমাধান করেছি। তারপর বড়বাজারে ফায়ার ব্রিগেড করা হয়েছে। হাসপাতালে রয়েছে। যতটা পেরেছি করে দিয়েছি। করোনার সময় এই পোস্তা বাজার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন সবাইকে বাড়ি থেকে তুলে এনে বলেছিলাম বাজার খুলতে। নিরাপদে থেকে বাজার খোলা হয়েছিল। বলেন, এখানে বহু দাহ্য পদার্থ মজুত থাকে। ফলে আগুন লেগে যায়, সেই দিকটায় নজর দিতে হবে। সেফটি-সিকিউরিটির যাতে প্রবলেম না হয় সে বিষয়টি নজরে রাখতে হবে। এখানে অনেক পুরনো বাড়ি আছে, যেগুলো ভেঙে যাচ্ছে। আপনারা নিরাপত্তার স্বার্থে পুরসভার নোটিশ মেনে কাজ করুন। ভাবছেন এই বাড়ি যদি দিয়ে দিই, তাহলে আমাদের আর বাড়ি মিলবে কি না। আমি বলছি, যার যতটা অধিকার আছে, তারা সবাই পাবেন, সার্টিফিকেটও পাবেন। নতুন ঘর তৈরি হলে সবাই পাবেন। আপনার অধিকার, আপনারই থাকবে। কিন্তু জীবন সবার আগে। বাড়ি ভেঙে পড়লে জীবন চলে যেতে পারে।

আরও পড়ুন – কলকাতা থেকে ISI-কে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত চলছে, AI সিম্পোজিয়ামে সরব পূর্ণেন্দুর

_

_

_

_

_
_
_


