বিপর্যয় পিছু ছাড়ছে না উত্তরবঙ্গের। সদ্য দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠা উত্তরবঙ্গে এখনও শেষ হয়নি পুণর্নির্মাণের কাজ। তারই মধ্যে ফের অসময়ের বৃষ্টিতে নতুন করে দুর্যোগ পরিস্থিতি আলিপুরদুয়ার (Alipurduar), দার্জিলিংসহ চার জেলায়। একের পর এক নদীতে জলস্ফীতির জেরে নতুন করে অশনি সংকেত উত্তরবঙ্গে (North Bengal)।

প্রবল বৃষ্টিতে সবথেকে ক্ষতির মুখে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar)। বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি ও নদীর জল বেড়ে এশিয়ান হাইওয়েওতে বীরপাড়ার গেরগেন্ডা নদীর (Gergenda river) সেতুর মুখে ফের ধস (landslide) নেমেছে। যার ফলে উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে সংযোগকারী এশিয়ান হাইওয়ে ও ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে (NH-31) যান নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। কয়েক মাস আগে এই সেতুর একটি পিলার বসে গিয়ে বিপত্তি শুরু হয়েছিল। এরপর সেতুর ওপর ধীর গীতিতে এক পাশ দিয়ে যান চলাচল জারি রেখেছিল প্রশাসন। কিন্তু বার বার সেতুতে ওঠার মুখে রাস্তা ধসে গিয়ে তৈরী হচ্ছে বিপত্তি। স্থানীয় ব্যাবসায়ী ও সাধারণ মানুষ দাবী করছেন, দ্রুত এই সেতুটির পূর্ণ সংস্কার শেষ করে যান চলাচল স্বাভাবিক করুক কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে জেলার এক নম্বর ব্লকের শালকুমার গ্রাম পঞ্চায়েতের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান (Jaldapara National Park) সংলগ্ন সিসামারা এলাকা এক মাসের মধ্যেই ফের একবার বন্যার আশঙ্কায় প্রহর গুনছে। শুক্রবার ফের সিসামারা নদীর (Sisamara river) জলস্তর বিপজ্জনক ভাবে বেড়েছে। আগে যে জায়গায় বাঁধ ভেঙেছিল, সেখানে জরুরি মেরামতির কাজ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কিন্তু সিসামারা নদীর ওই অংশে কিছুটা জল গ্রামে ঢুকেছে। রাতে যদি জল স্তর আরও বেড়ে যায় তবে ফের জল ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে গ্রামে।

আরও পড়ুন: তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত নেপাল! অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প থেকে উদ্ধার ১৬২ পর্যটক

যদিও জেলা প্রশাসন বন্যা মোকাবিলায় একেবারে প্রস্তুত। বাঁধের পাশের এলাকার মানুষদের লাল্টুরাম স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ওই ত্রাণ কেন্দ্রে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক আর বিমলা জানান, শালকুমারের সিসামারা এলাকায় ফের একবার বন্যা পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আমরা তা মোকাবিলায় সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। ত্রাণ কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। উদ্ধার কাজের প্রয়োজনে সেখানে নৌকা রাখা হয়েছে। সিভিক পুলিশসহ প্রশাসনের আধিকারিকরা ওই এলাকায় সজাগ আছেন।

–

–

–

–

–

