রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার সকাল থেকে বাড়ি বাড়ি ফর্ম নিয়ে হাজির হন বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)রা। কিন্তু দিনহাটার সাবেক ছিট মহল পোয়াতুর কুঠি এলাকায় সেই ফর্ম নিতে অস্বীকার করলেন বহু বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাঁরা ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন ২০১৫ সালে। অথচ এসআইআর ফর্মে ২০০২ সালের তথ্য চাইছে নির্বাচন কমিশন। তাঁদের বক্তব্য, সে সময় তাঁরা ছিটমহলে ছিলেন, কোনও ভারতীয় নথি ছিল না—তাহলে ২০০২ সালের তথ্য কীভাবে দেবেন? তাই সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ফর্ম নেবেন না বলে জানিয়ে দেন।

দীর্ঘ আলোচনার পরও বাসিন্দাদের মত পরিবর্তন না হওয়ায়, বাধ্য হয়ে ফিরে যান সংশ্লিষ্ট বুথের বিএলওরা। পোয়াতুর কুঠির বাসিন্দা সাদ্দাম মিঞা বলেন, “২০১৫ সালে আমারা নাগরিকত্ব পেয়েছি। তার আগে কোনও ভারতীয় নথি ছিল না। তাই ২০০২ সালের তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজনে আমরা আন্দোলনে নামব।”

এদিন দেখা গেল, বিএলওদের পাশে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ লেভেল এজেন্ট টু (বিএলএ-২)। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে বুথ লেভেল এজেন্টদের উপস্থিতি ছিল না বলে অভিযোগ। সম্প্রতি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, এসআইআর প্রক্রিয়ায় বিএলওদের পাশে ছায়াসঙ্গী হিসেবে থাকবেন দলের বিএলএ-টু সদস্যরা। সেই নির্দেশ মেনেই জেলা জুড়ে বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভার আয়োজন হয়েছে।

শীতলকুচি কমিউনিটি হলে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। তিনি বলেন, “বিএলওদের কাজ নির্বিঘ্ন করতে আমরা পাশে রয়েছি। প্রক্রিয়া যেন সুষ্ঠুভাবে হয়, সেটাই লক্ষ্য।”

আরও পড়ুন – কমিশনের ‘ঐতিহাসিক’ SIR! আধার কার্ড বাতিলে যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন মমতা

_

_

_

_
_
_


