নয়া মাইলফলকে পৌঁছাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শুরু হওয়া ‘শিশু সাথী’ প্রকল্প । কলকাতা, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিনই একাধিক শিশু চিকিৎসা পাচ্ছে ‘শিশু সাথী’র আওতায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সার্জন ও নার্সিং টিম একত্রে কাজ করছেন যাতে দ্রুত চিকিৎসা সম্পন্ন হয়। সেই প্রকল্প সম্পর্কেই বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার আমাদের শিশুদের সর্বোত্তম স্বাস্থ্যসেবার জন্য সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ‘শিশুসাথী’ ২০১৩ সালে চালু হওয়া একটি প্রধান প্রকল্প। এই প্রকল্পে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৩,০০০ -এরও বেশি শিশুর জন্মগত হৃদরোগ, ঠোঁট/তালু কাটা, ক্লাবফুট এবং নিউরাল টিউব ত্রুটির জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করেছে, যাতে কোনও শিশু পরিষেবা থেকে বাদ না পড়ে!
‘শিশুসাথী’ প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে আবেদনকারীর বয়স জন্ম থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত হতে হবে এবং তাকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। অভিভাবকের আয়ের শংসাপত্র জমা দিতে হয়, তবে আয়ের কোনও ন্যূনতম বা সর্বোচ্চ সীমা নির্দিষ্ট নেই। অফলাইনে আবেদন করতে হলে প্রথমে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। অনলাইনেও আবেদন করার ব্যবস্থা রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর মনে করিয়ে দিয়েছে, সঠিক তথ্যের অভাবে এই প্রকল্পের সুবিধা অনেকেই এখনও পান না। তাই প্রত্যন্ত গ্রামের পরিবারগুলির কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া জরুরি। রাজ্যের তরফে আশা, ‘শিশুসাথী’-র হাত ধরে আরও বহু শিশু নতুন জীবন ফিরে পাবে।রাজ্য সরকারের দাবি, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি এই প্রকল্প রাজ্যের শিশুমৃত্যুর হার কমাতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে।

আরও পড়ুন- বিমানবন্দর থেকে ‘পলাতক’ বাঁদর, তুলকালাম নেটপাড়া

_

_

_

_

_

_

_
_


