আরজিকরের চিকিৎসক তরণীর ধর্ষণ খুনের ঘটনার মধ্যেই আর্থিক দুর্নীতি ঘিরে শোরগোল শুরু হয় আর জি কর হাসপাতালে। গ্রেফতার হন তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। অভিযোগের তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। তাঁদেরই তদন্তে উঠে এসেছে, এই আর্থিক তছরুপের ঘটনায় জড়িত অভিযোগকারী চিকিৎসক আখতার আলিও (Akhtar Ali)। সিবিআই-এর তদন্ত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবার আখতার আলিকে সাসপেন্ড (suspend) করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর (Department of Health and Family Welfare)।

আর জি করের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার (Deputy Supreintendent) আখতার আলি। সেই তদন্তে সিবিআই-এর পাওয়া তথ্যেই আখতার আলির বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। সেই সময়ে তিনি হাসপাতালের ভাঁড়ারের (procurement) দায়িত্বে ছিলেন ডেপুটি সুপার হিসাবে। সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এই ভাঁড়ার রক্ষা করতে গিয়ে নিয়ম ভেঙে জিনিস তদারকিতে অভিযুক্ত তিনি।

তবে স্বাস্থ্য দফতরের অভিযোগে উঠে এসেছে আরও মারাত্মক তথ্য। ডেপুটি সুপার থাকাকালীন সেই পদের ব্যবহার করে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি নিজে শুধু নন, সিবিআই-এর তদন্তে উঠে এসেছে তিনি পরিবার নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করার মতো আর্থিক দুর্নীতি (financial misconduct) করেছেন। সেই খাতে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নয়ছয় করেছেন।

সেই সঙ্গে সিবিআইয়ের তদন্তে পাওয়া গিয়েছে সাইনোসিওর নামে একটি সংস্থার থেকে ২ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা নিয়েছিলেন আখতার আলি। পরিবর্তে ২০২০-২২ অর্থবর্ষেই সেই সংস্থা আর জি কর হাসপাতালে (R G Kar Hospital) বিশেষ বরাত পেয়েছিল। সিবিআইয়ের তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এবার সতর্ক পদক্ষেপ ফেলতে চায় স্বাস্থ্য দফতর।

আরও পড়ুন: দুর্যোগ পরিস্থিতি পর্যালোচনা: আগামী সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

সেই লক্ষ্যেই শুক্রবার সাসপেন্ড করার ঘোষণা করা হয় আখতার আলিকে। অনির্দিষ্টকালের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। সেক্ষেত্রে তিনি সরাসরি স্বাস্থ্য দফতরে রিপোর্ট করবেন বলেও জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আর জি কর নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা চিকিৎসক আখতার আলি যোগ দিয়েছেন রাজনৈতিক দল বিজেপিতে। এমনকি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

–

–

–

–

